X
বুধবার, ০১ মে ২০২৪
১৮ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংকের কাছে সরকারের দেনা ১ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা, সংসদে অর্থমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:৪২আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:৫৬

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (ছবি: সংগৃহীত) ব্যাংকগুলোর কাছে সরকারের ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা দেনা আছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খ মমতা হেনা লাভলীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সরকার জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত— এই ১১ বছরে বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংক থেকে ১৩ লাখ ২৭ হাজার ৬২৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেছে এবং ১১ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে। অর্থাৎ এ সময়ে নিট ঋণ ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
খ মমতা হেনা লাভলীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ হিসেবে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত ১৪টি উন্নয়ন সহযোগী দেশ/সংস্থার সঙ্গে ৩ হাজার ১২০ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন ডলারের (২ হাজার ৬২১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা) ৩৪টি ঋণ ও অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি ঋণ চুক্তির সংশ্লেষ অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ৪৫৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এবং ২০টি অনুদান চুক্তির সংশ্লেষ অর্থের পরিমাণ ১৬৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
বিএনপির হারুনুর রশীদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ সহায়তার পরিমাণ ২ হাজার ৭১৭ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার (২৩ হাজার ২৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা)।
আদিবা আনজুম মিতার প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ব্যক্তিপর্যায়ে করদাতার সংখ্যা ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ৬৬৬ জন।
বিএনপির মো. মোশারফ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী দেশে ঋণ হিসাবের সংখ্যা ১ কোটি ৭ লাখ। আর ঋণের স্থিতি ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা।
গণফোরামের মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমানে শেয়ার বাজারে কিছু তারল্য সংকট থাকলেও ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট নেই। আবশ্যকীয় বা বাধ্যতামূলক নগদ জমা (সিআরআর) সংরক্ষণ ও আবশ্যকীয় সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ (এসএলআর) সংরক্ষণের পরও তফসিলি ব্যাংকগুলোর কাছে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। এ তারল্যের পরিমাণ ২০১৯ সালের জানুয়ারির ৬৭ হাজার ৬০১ কোটি টাকা থেকে ৫৭.৯৫% বৃদ্ধি পেয়ে একই বছরের ডিসেম্বরে ১ লাখ ৬ হাজার ১০১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ২০১০-১১ সালে পুঁজিবাজারে উত্থান-পতনে বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের দেওয়া মার্জিন ঋণের ওপর ঋণাত্মক প্রভাবে বিনিযোগকারীদের প্রদেয় মার্জিন ঋণ অনাদায়ে এবং মার্জিন ঋণের বিপরীতে কেনা শেয়ারের বাজারমূল্য কমে যাওয়ায় বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত ঋণাত্মক মূলধনের পরিমাণ ২০১০-১১ সাল থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১২ হাজার ৯০ কোটি ৭ লাখ টাকা গণনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে ঋণ আদায়ের হার কম হওয়ায় এবং প্রাইভেট সেক্টরে ঋণের সরবরাহ কমে যাওয়ায় ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতও পুঁজিবাজারে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে বিনিয়োগ করছে না। ফলে কিছু তারল্য সংকটে পড়েছে।

/ইএইচএস/এইচআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নাটবল্টুর সঙ্গেই কাটছে শৈশব-কৈশোর
নাটবল্টুর সঙ্গেই কাটছে শৈশব-কৈশোর
ডর্টমুন্ডের দুর্গে ইতিহাস গড়তে পারবে পিএসজি? 
ডর্টমুন্ডের দুর্গে ইতিহাস গড়তে পারবে পিএসজি? 
মে দিবসে বন্দরগুলোতে আমদানি-রফতানি বন্ধ
মে দিবসে বন্দরগুলোতে আমদানি-রফতানি বন্ধ
মে দিবসে রাজপথে স্লোগানমুখর শ্রমজীবীরা
মে দিবসে রাজপথে স্লোগানমুখর শ্রমজীবীরা
সর্বাধিক পঠিত
চকরিয়ার সেই সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত
চকরিয়ার সেই সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ভেঙেছে ঘরবাড়ি, ধানের ক্ষতি
কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ভেঙেছে ঘরবাড়ি, ধানের ক্ষতি
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’