X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৭ আষাঢ় ১৪৩২

দারিদ্র্য বিমোচনে ডাটা বিপ্লব

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৫ জুলাই ২০২০, ০৪:৪২আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২০, ০৪:৪৪

ভার্চুয়াল সাইট ইভেন্টের প্যানেল আলোচনায় আলোচকরা ডাটা বিপ্লব শুধু কোভিড-১৯ জনিত স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলার জন্যই নয়; এটি দরিদ্র্য বিমোচন এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের সামাজিক সুরক্ষা ও নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতেও প্রয়োজন। প্রয়োজন স্থানীয় ও প্রবাস ফেরত কর্মীদের জীবিকার সংস্থান করতেও। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) ‘ডাটা বিপ্লবের মাধ্যমে কোভিড পরবর্তী পুনরুদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিতকরণ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সাইট ইভেন্টের প্যানেল আলোচনায় আলোচকরা এসব কথা বলেন।

জীবন ও জীবিকার ভারসাম্যের জন্যে কীভাবে ডাটা ব্যবহার করা যেতে পারে সে সম্পর্কে কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সরকারি, বিষয় বিশেষজ্ঞ, একাডেমিয়া এবং বেসরকারি খাত থেকে নির্বাচিত প্যানেলিস্টদের নিয়ে জাতিসংঘের চলমান উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরাম উপলক্ষে এই ভার্চুয়াল সাইট ইভেন্টের আয়োজন করে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এটুআই আয়োজনটি বাস্তবায়ন করে। সোমালিয়া, জাতিসংঘের সংস্থাসমূহ এবং ফিউচার অব ওয়ার্ক ল্যাব বাংলাদেশ ছিল ইভেন্টটির সহযোগী। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও পুনরুদ্ধার কর্মসূচি কার্যকর এবং সময়োপযোগী বাস্তবায়নে ডাটা বিপ্লবের ওপর বিশেষ জোর দেন প্যানেলিস্টরা।

কোভিড-১৯ এর ফলে সারাবিশ্ব যেসব বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে তা উল্লেখ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জসমূহের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘অভিবাসী কর্মী প্রেরণকারী অন্যান্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও আজ কোভিড মহামারিজনিত কারণে অভিবাসী কর্মীদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এ কারণে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দেশের মতো আমাদের অর্থনীতি বড় হুমকির মুখে পড়েছে। তেলের দাম হ্রাস এবং কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাবে অনেক কর্মী বেকার হয়ে পড়েছে। তাই ডাটা সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও এর কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনকারী এসব প্রবাসী কর্মীর পুনঃকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারি এবং তাদের টেকসই উপায়ে পুনরায় কর্মে পুনর্বাসিত করতে সাহায্য করতে পারি।’

উদ্বোধনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘যেহেতু আমরা একটি মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করছি, তাই বৈজ্ঞানিক প্রমাণপত্র ও তথ্যাদির গুরুত্ব আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় এখন অনেক বেশি। ‘ডাটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ’—এখন কী ঘটছে শুধু সে জন্যই নয়, বাস্তবভিত্তিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রেও অত্যাবশ্যক।'

 

/এসএসজেড/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বরগুনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
বরগুনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন নেতানিয়াহু, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের তোড়জোড়
যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন নেতানিয়াহু, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের তোড়জোড়
আরও ১৩ জনের করোনা শনাক্ত
আরও ১৩ জনের করোনা শনাক্ত
সুনামগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পুলিশ সদস্য
সুনামগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পুলিশ সদস্য
সর্বাধিক পঠিত
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি
প্রশাসনে থামছে না আন্দোলনঅন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি
আরও ১১ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
আরও ১১ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট
আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট