নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, সাবেক সেনা কর্মকর্তা আহসান হাবীব খান, সাবেক সচিব মো. আলমগীর ও সাবেক সচিব আনিছুর রহমান।
নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মেধাবী ও দক্ষ আমলা হিসেবে পরিচিত সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল অবিভক্ত আইন মন্ত্রণালয়, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি সৎ এবং ব্যক্তিত্ববান মানুষ হিসেবে পরিচিত। ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার আগে ২০১৪ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগদান করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। একই বছরের ডিসেম্বরে তিনি একই মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে নিয়োগ। তিনি বর্তমানে রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন।
নতুন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জন্ম শরীয়তপুরে ১৯৬২ সালে। আনিছুর রহমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮৫ ব্যাচের সদস্য হিসেবে ১৯৮৮ সালে ক্যাডার সার্ভিসে যোগদান করেন। তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, অর্থ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
নতুন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ২০১৯ সালের ১০ জুন সচিব হিসেবে নির্বাচন কমিশনে যোগ দেন। ওই বছরেরই ১৬ সেপ্টেম্বর সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। তারও আগে তিনি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডিজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ যাওয়া রাশিদা সুলতানা জেলা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষ করে এখন অবসর যাপন করছেন। আর সেনা কর্মকর্তা আহসান হাবীব খান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অবসরে গেছেন।
প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের লক্ষ্যে ১০ জনের নাম সুপারিশের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে কমিটির প্রধান করা হয়।