নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম খ্রিস্টান, হিন্দু বা মুসলমানের কবি ছিলেন না; তিনি ছিলেন মানবজাতির কবি। তিনি মানবতার কথা বলে গেছেন। তার সাহিত্যের মধ্যে সবকিছু পাই।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গাহি সাম্যের গান মঞ্চে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে নজরুল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ১২৪তম নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিভা উপলব্দি করতে হলে তার সৃষ্টিকে প্রত্যক্ষ করতে হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দক্ষ কূটনৈতিকতায় ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবি নজরুলকে স্বাধীন বাংলাদেশে আনেন এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেন। বঙ্গবন্ধু কবি নজরুলকে ধারণ করে আমাদের মুক্তির চেতনায় স্থান দিয়েছিলেন। জাতীয় কবি নজরুলের আলোচনা করতে গেলে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম আলোচনায় আসে। সাহিত্যের মধ্য দিয়ে একটি জাতিকে কীভাবে জাগ্রত করা যায় সেটি তাদের দুজনের সাহিত্যকর্মে ফুটে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের চাওয়া পাওয়াকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। রবীন্দ্রনাথের ‘‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’’ গানটিকে জাতীয় সংগীত এবং নজরুলের ‘‘চল চল চল ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল’’ এটিকে রণসংগীত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের সম্মানিত করেছেন বঙ্গবন্ধু। নজরুলের সাহিত্য চর্চাকে ছড়িয়ে দিয়ে তার প্রতি সম্মান দিতে হবে। সে লক্ষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিকাশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আহমেদুল বারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রামিম আল করিম, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব।
‘নজরুলের কাব্য প্রতিভার উন্মেষ ও বিকাশ’ বিষয়ক মূলপ্রবন্ধ সভায় উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম।
