জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, শিশু, যুবা, বৃদ্ধ, তরুণ সবাইকে কর্মক্ষম মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তবেই দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সফলতা পাবে। শিশুদের খাদ্য, স্বাস্থ্য, ও সামাজিক নিরাপত্তায় সরকার উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ রাখছে। এর ফলে প্রতিটি শিশু আগামী দিনের কর্ণধার হিসেবে উন্নত বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেবে। এই কর্মযজ্ঞে সরকারের পাশাপাশি পরিবারকেও সচেতন হতে হবে। সামাজিক সচেতনতা তৈরিতে অবদান রাখতে হবে উন্নয়ন সহযোগীদের।
বুধবার (৭ জুন) শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় আরবান ককাস এবং ইউনিসেফের যৌথ সহযোগিতায় ‘সংসদ সদস্যদের জন্য ব্রিফিং: জাতীয় বাজেট ২০২৩-২০২৪ এবং শিশু অধিকার’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘জাতির পিতার সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ। সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নে তিনি দেশকে একটি সংবিধান দিয়ে গেছেন, যেখানে প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। শিশুর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে তাকে কর্মক্ষম করে তোলার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ২০৪১ সালে ধূমপান ও মাদকমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর হবে আজকের শিশুরাই।’
শামসুল হক টুকু বলেন, ‘সরকার শিশুদের আমিষের অভাব পূরণে স্কুলে দুধ ও ডিম সরবরাহ করছে। মাতৃত্বকালীন ভাতা ও উপবৃত্তি নিশ্চিত করেছে। এছাড়া শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিচ্ছে। শিশুদের পেছনে সরকার ব্যয় করে না বরং বিনিয়োগ করে। এই বিনিয়োগকে ফলপ্রসূ করতে হলে পরিবার ও উন্নয়ন সহযোগীদের একত্রে কাজ করতে হবে।’
সভায় আরও অংশ নেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির সভাপতি হাবিবে মিল্লাত, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, রেজাউল করিম বাবলু, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, সৈয়দা রুবিনা আক্তার।