আগামী এপ্রিলে বিমসটেক জোটভুক্ত সাত দেশের পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে নেপালে। আঞ্চলিক এ সংস্থার ভবিষ্যত দিক নির্দেশনা ঠিক করা হবে ওই বৈঠকে। একই মাসে এই সাত দেশের বাণিজ্য সচিব মিলে ঠিক করবেন বিমসটেক মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল কিভাবে গঠন করা যায়।
মঙ্গলবার ঢাকায় সাতটি দেশের প্রতিনিধিরা মিলে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেন। পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও শ্রীলংকা বিমসটেকের সদস্য।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, আজকের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পূর্বে বাণিজ্য সচিবরা প্রস্তাবিত বিমসটেক মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল নিয়ে আলোচনা করবেন।
ভবিষ্যত বিসমটেক মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল কি রকম হবে এবং আঞ্চলিক সংহতি কিভাবে বজায় রাখা হবে তা নিয়ে বাণিজ্য সচিবদের সভায় বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
সভায় জাতিসংঘের এসকাপকে বিমসটেক এফটিএ এবং এর ভবিষ্যত নিয়ে একটি ধারনাপত্র তৈরি করে আগামি এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
এসকাপের রিপোর্টটি প্রতিটি সদস্য দেশের মধ্যে বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পূর্বে বিতরণ করা হবে।
এ সভায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাণিজ্য সহজীকরণ এবং ভিসা প্রথা শিথিল করার জন্য একাধিক প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়।
বৈঠকে ভারত বিমসটেকের ভবিষ্যত সম্পর্কে একটি পেপার তৈরি করে অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে বিতরণের প্রস্তাব দেয়। এছাড়া, বিমসটেক ২০৩০ সালের ভিশন তৈরির সময়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ মাথায় রাখার পরামর্শ দেয় দেশটি।
শ্রীলংকার পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয় আগামি পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্য মেয়াদি পরিকল্পনার জন্য।
অন্যান্য আঞ্চলিক সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে আলোচনা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে বলা হয়,২০৩০ সালে এ অঞ্চলের অবস্থা বর্তমান থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব অনুযায়ী ২০৩৪ সাল নাগাদ শুধুমাত্র বাংলাদেশের মোট দেশজ আয় দাঁড়াবে এক ট্রিলিয়ন জলারের বেশি।
এসএইচজেড/এমএসএম