পোশাক কারখানার পরিবেশ উন্নয়নের জন্য কয়েকটি উন্নয়ন সহযোগী বাংলাদেশকে ২০০ মিলিয়ন ডলারের (এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা) একটি তহবিল দিলেও এখন পর্যন্ত সেখান থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান ঋণ নেয়নি।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, তারাসহ কয়েকটি উন্নয়ন সহযোগী এ তহবিলের মাধ্যমে সহজ শর্তে কারখানাগুলোকে ব্যাংকিং খাতের মাধ্যমে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে আগ্রহী। কিন্তু এখনও কোনো প্রতিষ্ঠান এখান থেকে ঋণ নেয়নি।
ইইউ, জাইকা, ইউএসএইড, আইএফসি এবং আরও দুই বা তিনটি ছোট সংস্থা এ তহবিল দিচ্ছে, যাতে করে কারখানার মালিকরা এর মাধ্যমে উপকৃত হন।
রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করেন, তারা এক থেকে তিন শতাংশে এ ঋণ সরবরাহ করলেও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো অনেক ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, এ তহবিল থেকে ঋণ দেওয়ার সময়ে সাধারণ বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে চলবে না।
সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য যারা এর সাথে জড়িত সবার সাথে এর একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানের জন্য আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, এ তহবিল থেকে সহজশর্তে ঋণ দিতে চাই আমরা এবং আমরা আলোচনা করছি, যাতে করে এটি উচ্চহারের ঋণে পরিণত না হয়। আমার জানা মতে এর একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকগুলোকে পাঁচ শতাংশ সুদে ঋণ দেয় এবং ব্যাংকগুলো তাদের ক্লায়েন্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সুদের হার ঠিক করে। ব্যাংক-গ্রহীতা সম্পর্কের ভিত্তিতে এ হার ১০ শতাংশ বা ১৫ শতাংশ হতে পারে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে কোনো নাক গলায় না।
তিনি বলেন, সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং আশা করছি শিগগিরই একটি সমাধান পাওয়া যাবে।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধ্বসের পর সরকার, কারখানা মালিক, বিদেশি ক্রেতা এবং উন্নয়ন সহযোগিরা মিলে নিরাপদ কর্মস্থল ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগ নেয়।
/এপিএইচ/এজে/