আনসার ব্যাটালিয়ন আইন-২০২৩-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এই আইনে বিদ্রোহ বা বিশৃঙ্খলা করলে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার বিধানও রাখা হয়েছে।
আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়। সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে এই বৈঠক হয়। পরে বিকালে সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
সচিব জানান, বিশৃঙ্খলা ও বিদ্রোহ করলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে এই আইনে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে। এই আইনে যে অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে, একই অপরাধের জন্য পুরোনো আইনে কোনও শাস্তির বিধান ছিল না।
তিনি আরও জানান, প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, আনসার ব্যাটালিয়নদের অভ্যন্তরীণ অপরাধের বিচার হবে দু’টি আদালতে। এর মধ্যে একটি হবে ‘সংক্ষিপ্ত আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত’। এর প্রধান হবেন একজন অতিরিক্ত মহাপরিচালক। আরেকটি হবে ‘বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত’। এর প্রধান হবে আনসারের মহাপরিচারক। এর মধ্যে বিদ্রোহ সংঘটন, তাতে প্ররোচনা, বিদ্রোহের কারণ সৃষ্টি, যড়যন্ত্রে লিপ্ত ও যোগদান করা ইত্যাদি গুরুতর অপরাধের বিচার হবে এই বিশেষ আনসার আদালতে। এই ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।
সচিব বলেন, এছাড়াও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে শুরু করে অন্যূন পাঁচ বছরের কারাদন্ডের অপরাধগুলোর বিচার হবে এই বিশেষ আদালতে। এসব আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করারও সুযোগ আছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, প্রস্তাবিত এই আইনে বিদ্রোহের একটি সংজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে।