‘অধিকার’ সংস্থাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) পার্লামেন্টে আলোচনা ও রেজুলেশন গ্রহণের বিষয়টি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল বলে মনে করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পার্লামেন্টে রেজুলেশনটি নিয়ে আলোচনা হয় এবং পরের দিন গৃহীত হয়।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, এটি আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো। আশা করি সবাই কমনসেন্সের ওপর ভিত্তি করে কাজ করবে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের পরিপক্ব সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্কের জায়গা থেকে আমাদের অভ্যন্তরীণ কোনও বিষয়ে এবং সেটাও আবার আদালতে বিচারাধীন– এ ধরনের কার্যক্রমে আশা করি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট নাক গলাবে না, ইউরোপিয়ান কাউন্সিল এটি আমলে নেবে না।
বুধবারের আলোচনায় আট জন বক্তব্য দিয়েছেন জানিয়ে তিনি জানান যে তাদের মধ্যে দুই জন পরিষ্কার করে বলেছেন তারা এটির পক্ষে নয়। এরমধ্যে একজন এরকমও বলেছেন, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের এ ধরনের আচরণ নতুন কলোনিয়ালিজমকে উসকে দিতে পারে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতি এ ধরনের আচরণ করা ঠিক নয়। আরেকজন বক্তা এরকমও বলেছেন, এ ধরনের উদ্যোগ ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট থেকে নিলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একদিক থেকে এটি আমলে নেবো, কারণ এটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার। এরকম কোনও কার্যক্রম হলে আমরা চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে থাকতে পারি না।’