নির্বাচনে প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা যথাযথ হলে কারচুপি পরাভূত (পরাজিত) করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার (৪ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে ‘অবাধ ভোটাধিকার, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মিডিয়ার বক্তব্য শুনে থাকি। পোলিং এজেন্টের ভূমিকা যদি যথাযথ হয়, তাহলে কারচুপি পরাভূত করা সম্ভব বলে মনে হয়।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন সিইসি।
এ কর্মশালায় আমন্ত্রিত অতিথি সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ জানান, প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোটে দলগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিতে ইসির করার কিছু না থাকলেও, সবার সহযোগিতা নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দলগুলো নিবন্ধিত হয় ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য। কোনও কারণে কোনও দল অংশ না নিলে করার কিছু থাকে না। কিন্তু কমিশন ভোটারসহ সবাইকে আশ্বস্ত করবে, ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। আশা করি, বর্তমান কমিশন একটা সুন্দর নির্বাচনের ব্যবস্থা নেবে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম জানান, রাজনৈতিক বিবদমান পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণমূলক ভোট নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। (সব দলকে ভোটে আনা) এটা ইসির দায়িত্ব নয়, রাজনৈতিক দলের ভূমিকা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রার্থীকে অবশ্যই সব কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট দিতে হবে। যদি না দেয়, জবাবদিহির মধ্যে আনা যায় না। এজেন্ট বের করে দিচ্ছে, শুধু হাওয়ার মধ্যে অভিযোগ দিলে হবে না। প্রার্থীর একটা দায় রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকেও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে।
এ নির্বাচন সামনে রেখে ধারাবাহিক কর্মশালার দ্বিতীয় ধাপে বুধবার সাবেক সহকর্মী ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বসেছে ইসি। এর আগে সেপ্টেম্বরেও এক দফা কর্মশালার আয়োজন করে।