চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশন কার্যক্রম শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। শেষ দিনে বেশকিছু বিল পাস হয়। এসব বিল বাছাই কমিটিতে পাঠানোর সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এমপিরা। দলটির এমপি শামীম হায়দার পাটোয়ারী পরিত্যক্ত বাড়ি বিলের ওপর আলোচনাকালে সংসদের অধিবেশন শেষ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তিনি সংসদে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন। তিনি স্পিকারের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসাও করেন। এক পর্যায়ে স্পিকারের হাসির ব্যাপক প্রশংসা করেন। স্পিকারের হাসি দেখলে মন ভালো হয়ে যায় বলেও মন্তব্য করেন। এ সময় সংসদে হাসির রোল পড়ে যায়।
শামীম হায়দার বিলের সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে বলেন, বিগত ৫ বছর এই সংসদে ছিলাম। অসংখ্য মিনিট আমরা কথা বলেছি। আপনি সুযোগ দিয়েছেন অত্যন্ত সুন্দর, ফেয়ারলি। অনেকের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছি এবং কঠোরভাবে সমালোচনা করেছি। সকলে তা শুনেছেন। কখনও উগ্র ভাষায় জবাব দেননি। এটা আমাদের দায়িত্ব ছিল। আপনি আমাদের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল। এই সময়ে মনে পড়ছে আমাদের (সাবেক) ডেপুটি স্পিকাররে কথা (মরহুম ফজলে রাব্বী মিয়া)। উনিও আমাদের প্রতি স্নেহশীল ছিলেন।
স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার হাসি খুব সুন্দর। আপনাকে যখন দেখতে যাই- আপনার হাসি দেখে মন ভালো হয়ে যায়। এ মন্তব্য করার পর শামীম হায়দার নিজে হেসে ফেলেন। স্পিকারও হেসে ফেলেন। সংসদেও হাসির রোল পড়ে যায়।
তিনি বলেন, তিনজনের হাসি সম্পর্কে বলা হয়— মাধুরী দীক্ষিত, রেনুকা সাহানে এবং জুলিয়া রবার্ট, তারা যদি জজের সামনে হেসে দেন জজও ওনাদের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দিতে পারবেন না। চতুর্থ হিসেবে আপনি এখানে থাকবেন। আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আপনি অত্যন্ত ফেয়ারলি সংসদ চালিয়েছেন। বিরোধী দলের অনেকে অনেক কিছু বলেছে। কিন্তু সংসদ পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার কারো নেই। বা সেই সুযোগও নেই। আপনি এমনভাবে চালিয়েছেন।
যখন বিএনপির বন্ধুদের সাথে বসি, তারাও কখনও আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে পারেনি। আপনি সেভাবে তাদের সময় দিয়েছেন। আমাদের সময় দিয়েছেন। এবং আপনি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্পিকার, পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্পিকার।
আজ এই সংসদ অধিবেশনের হয়তো বা শেষদিন হতে পারে। এজন্য সকলের কাছে দোয়াও চাচ্ছি। জুনিয়র সংসদ সদস্য হিসেবে অনেক কথা বলেছি। অনেকে ব্যক্তিগতভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন। এজন্য ক্ষমাও চাচ্ছি। তবে আমরা জনগণের জন্য কথা বলেছি।