দেশের অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেমন প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন, সে বিষয়ে একটা ধারণা দিয়েছেন তার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দেন। কথা বলেন তিনি। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে ড. ইউনূসের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সফরে ড. ইউনূস অর্থনৈতিক সহযোগিতার ব্যাপারে কেমন প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন— জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেন, বিশ্বব্যাংক ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছে। রোহিঙ্গাদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৪০০ মিলিয়ন ইউরো দেবে।
তিনি আরও বলেন, আইএমএফ প্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে ড. ইউনূসের, তিনি বাংলাদেশের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল এখন বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। সফর শেষে তারা ফাইন্ডিংস জানাবে। তারা গত বছর যে অর্থ সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছে, তার অতিরিক্ত আরও সহায়তা দেবে বলে আশা করছি। এটা ৩ বিলিয়ন ডলারের মতো হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘে খুবই ব্যস্ত সময় পার করেছেন উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, তিনি এই সময়ে ৫০টির মতো মিটিং করেছেন। এর মধ্যে ১২টি বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে মিটিং হয়েছে। একটি মিটিং শেষ করে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরেক নেতা এসে হাগ (জড়িয়ে ধরা) করেছেন, সবাই তার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। তারা সবাই বলেছেন, এই সরকারকে সমর্থন করেন এবং সরকারের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক। এই সফরটা বাংলাদেশের জন্য পজিটিভ মাইলস্টোন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর।