যে কোনও ধরনের হামলা ঠেকাতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গতকাল সোমবার প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একটি সভা করেছেন। সতর্কতা বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি আগে থেকেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর জোর দিয়ে আসছেন।’
আগামীকাল বুধবার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত আরেকটি বৈঠক ডেকেছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল। এতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন শাখার প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে আমরা আগেও চেষ্টা করেছি। এখনও করছি।’
গত ১ জুলাই গুলশানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার এক সপ্তাহ না পেরোতেই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলার পর দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ করা হয়েছে। আগামীকাল সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে আসবো।’
সুপ্রিম কোর্ট স্পর্শকাতর জায়গা হওয়ায় নিরাপত্তার যেন কোনও প্রকার বিঘ্ন না ঘটে, এ জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে বিশেষভাবে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে দায়িত্বরত ঢাকা মহানগর পুলিশের এক গোয়েন্দা সদস্য বলেন, ‘আমাদেরকে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষভাবে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি।’
আদালতে ঢুকতে গেটগুলোতে পুলিশের পাহারা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের দক্ষিণ পাশের ফটকে গাড়ি প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদের পর যেতে দিচ্ছে পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের মূল ফটকেও একই অবস্থা।
সুপ্রিম কোর্ট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগের চেয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কড়াকড়ি কিছুটা বেড়েছে। মূলভবন ও এনেক্স ভবনে কাউকে ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আইনজীবী ছাড়া অন্যদের এই দুই ভবনে প্রবেশের সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে আইনজীবী ভবনে প্রবেশে কোনও বাড়তি কড়াকড়ি নেই।
/ইউআই /এপিএইচ/
আরও পড়ুন:
খায়রুল ও উজ্জ্বল ছিল ‘আহলে হাদিস’র অনুসারী