গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর পুলিশ হেফাজতে থাকা তাহমিদকে খুঁজে পেতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সহায়তা চেয়েছে তার পরিবার। ঘটনার ১২ দিনের মাথায় তারা এ সহায়তা চাইলো। দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ বলছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পুলিশ তাকে ছাড়েনি এবং কোথায় আছে তাও জানাচ্ছে না।
২২ বছরের তাহমিদ কানাডার স্থায়ী বাসিন্দা ও টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ১ জুলাইয়ের পর থেকে তাকে নিয়ে ছোট ছোট কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা।
তাহমিদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চেয়ে কানাডার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রী স্টেফানে ডিওনের কাছেও চিঠি পাঠিয়েছে তাহমিদের পরিবার। তাহমিদ যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন সেখানকার প্রেসিডেন্ট মেরিক গার্টলারও একই মন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছেন।
দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া তাহমিদকে খুঁজে পেতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সহায়তা চেয়েছেন তার পরিবার। টরোন্টোর আইনজীবী মার্লিস এডওয়ার্ডের বরাত দিয়ে ‘দ্য কানাডিয়ান প্রেস' জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ তাহমিদকে খুঁজে পেতে তার পরিবার এডওয়ার্ডকে নিয়োগ দিয়েছে। উল্লেখ্য, কানাডার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ‘টরোন্টো স্টার' জানিয়েছে, তাহমিদের অবস্থা জানতে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কানাডা।
গত কয়েকদিন ‘ফ্রি তাহমিদ’ নামে একটি ফেসবুক পেজে তাকে নিয়ে বাংলাদেশের পত্রিকায় হওয়া প্রতিবেদন শেয়ার দেওয়া থেকে শুরু করে তার নানা ছবি দিয়ে তাকে মুক্ত করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এখানে তাহমিদকে একজন পশুপ্রেমি হিসেবে হাজির করে পোষা প্রাণির সঙ্গে তার ছবি পোস্ট করা হয়েছে। তার সহপাঠীরা জানতে চান, তাহমিদ এখন কোথায়।
সিবিসি কানাডিয়ান নিউজ তাহমিদের ভাই তালহার বরাত দিয়ে বলেছে, আমরা জানি না তাকে সাক্ষী হিসেবে নাকি সন্দেহভাজন হিসেবে আটক রাখা হয়েছে। সে ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিল দাবি করে তালহা বলেছেন, তাহমিদের সারা জীবনের কোনও কর্মকাণ্ডই উগ্রপন্থার বলে চিহ্নিত করা যাবে না। তালহা এও জানিয়েছেন, তার বাবা বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছিলেন, ওই জঙ্গি হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আবুল হাসনাত রেজাউল করিম ও কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদ হাসিব খান তাদের হেফাজতেই আছেন। শুধু তারাই নন, আরও বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন হিসেবে তালিকায় আছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সোমবার সংবাদকর্মীদের জানান, তাহমিদসহ উদ্ধার হওয়া অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তার পরিবারের সদস্যরা বলছেন, তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি এবং কোথায় আছে সেটা জানানো হচ্ছে না।
- গোয়েন্দা প্রধানদের বরখাস্ত করা উচিৎ: এরশাদ
- জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী বক্তব্যের প্রমাণ মেলেনি
/ইউআই/এজে