X
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় প্রয়োজন সাংস্কৃতিক আন্দোলন

এমরান হোসাইন শেখ
১৩ জুলাই ২০১৬, ০২:০৭আপডেট : ১৩ জুলাই ২০১৬, ১২:৩৪

জঙ্গি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় সাংস্কৃতিক আন্দোললেন দাবি তুলেছেন দেশের শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সিনিয়র রাজনীতিবিদরা। তারা বলছেন, তরুণ সমাজকে বর্বরতা ও নিমর্মতার পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে হলে সবার আগে প্রয়োজন সাংস্কৃতিক আন্দোলন জোরদার করা। তাদের মতে, সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার অভাবে তরুণরা পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভুলপথে পরিচালিত হচ্ছে। ভুলশিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে নৃশংসতার পথ বেছে নিচ্ছে। এ অবস্থা থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষার জন্য সাংস্কৃতিক আন্দোলনের বিকল্প নেই।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা না থাকা এবং খেলাধুলার সুযোগ কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে তরুণরা সামাজিক-সম্প্রীতি থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে তাদের চিন্তাভাবনা। ফলে তরুণরা  পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভুল শিক্ষা নিয়ে জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এরই চরম পরিণতি হিসেবে গুলশানে-কিশোরগঞ্জে মানুষ হত্যার ঘটনা দেখতে হয়েছে।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা জানান, দেশের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে সূত্রপাত হয়ে পরে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ নিয়েছিল। তবে, মুক্তিযুদ্ধের পর অন্য সব অঙ্গনের মতো সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কর্মকাণ্ডে ভাটা পড়ে ‍যায়। আস্তে আস্তে দেশের মূল সাংস্কৃতিক আন্দোলন হারিয়ে গিয়ে কিছু অপসংস্কৃতি সেই জায়গা দখল করে নেয়। ফলে সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দেয়। নৈতিকতা বিভর্জিত হয়ে মানুষ হিংস্র হয়ে পড়ে। গুলশানে সন্ত্রাসী হামলায় সেই হিংস্রতার  বহিঃপ্রকাশ ঘটার পর নতুন করে সেই সাংস্কৃতিক আন্দোলনের গুরুত্ব সামনে চলে এসেছে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ভেতর-বাইরে থেকে এ আন্দোলন গড়ে তুলতে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার ১৪ দলের আরেকটি অনুষ্ঠানে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে রাজনীতিক নাজমুল হুদা বলেন, জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সাংস্কৃতিক জাগরণ লাগবে।  আপনাদের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, তারানা হালিম, কবরী ও মমতাজকে কাজে লাগাতে হবে।

অবশ্য এর আগে বিভিন্ন সময় বিচ্ছিন্নভাবে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কথা বলা হয়েছে। গত বছরের ২৪ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, মানুষের পেটের ক্ষুধার পাশাপাশি মনের ক্ষুধা মেটানোও জরুরি। আর এই মনের ক্ষুধা মেটাতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কোনও বিকল্প নেই। সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় সাংস্কৃতিক আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ওই অনুষ্ঠানে তিনি মানুষের মনের ক্ষুধা মেটাতে এবং অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে সাংস্কৃতিক কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক আন্দোলন জোরদার করারও আহ্বান জানান।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে এ বিষয়ে বলেন, তরুণ সমাজের অধঃপতন ঠেকাতে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের বিকল্প নেই। সাংস্কৃতিক আন্দোলন বলতে আমরা ‍যা বুঝি, তা বহু আগেই হারিয়ে গেছে। খেলার মাঠ নেই। পার্ক নেই। ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে মেশার সুযোগ হচ্ছে না। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রসংসদে সাংস্কৃতি চর্চার বড় সুযোগ ছিল। কিন্তু সেখানেও বছরের পর বছর নির্বাচন হয় না। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তো ছাত্র সংসদই নেই। তিনি বলেন, ফেসবুককে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বলছেন। বাস্তবে এটা তো কোনও যোগাযোগমাধ্যম হতে পারে না। এখানে তো ছায়ার সঙ্গে কথোপকথন হয়। মোবাইল ইন্টারনেট আর ফেসবুকের মাধ্যমে তারা ছোট হচ্ছে, অসামাজিক হচ্ছে। সুস্থ সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটছে না। এই শূন্যতা ও সুযোগটাকেই ব্যবহার করে জঙ্গিবাদের প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে। ধর্মশিক্ষাগুলোয় নৈতিকতার শিক্ষা না দিয়ে অন্যধর্মের প্রতি অসহিষ্ণু হওয়ার শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। সংস্কৃতির জায়গাটা বাড়ানো খুবই জরুরি।

জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস মোকাবিলায় সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ওপর গুরত্বারোপ করে বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, এটা স্পষ্ট, যারা জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদে জড়িত, তারা পরিবার, সমাজ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে নানাভাবে বিচ্ছিন্ন। ধর্মের নামে তাদের এমন উগ্রতায় দীক্ষিত করা হচ্ছে যে, তারা নিষ্ঠুরভাবে মানুষ হত্যা করছে। ‌মাত্র অল্প কিছুদিনের প্রশিক্ষণে তারা কী করে এভাবে অমানুষ হতে পারে, এটা ভাবার বিষয়।

বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় আনিসুজ্জামান বলেন, তরুণ সমাজের বিচ্ছিন্নতা কাটাতে হলে আমাদের সবার অনেক চেষ্টা করতে হবে। আগে পাড়া থাকতো। গ্রন্থাগার থাকতো। খেলার মাঠ থাকতো। মুরব্বি থাকতেন শাসনের নামে ছেলেমেয়েদের খেয়ালও রাখতেন। কিন্তু এখন তা সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে গেছে। আগে সাংস্কৃতিক কিছু কর্মকাণ্ড সবাইকে আন্দোলিত করত। কিন্তু এখন তো সেগুলো হারিয়ে গেছে। অল্প পরিসরে যেটা আছে, তা কোনও আবেদন রাখতে পারছে না।  তারা যে ধরনের রুচি গড়ে তুলেছে, তাতে তাদের বাঙালি সাংস্কৃতির যে মূলধারা, তা তাদের কোনও আকর্ষণ করে না। সংস্কৃতিগত চেতনা বাড়াতে হবে। পরস্পরের সঙ্গে ভাবনা-বিনিময় বাড়াতে হবে।

নৈতিক শিক্ষার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে এমনটা উল্লেখ করে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান আরও বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার কোনও উপায় দেখছি না। ধর্ম শিক্ষাটাকে আমরা নৈতিক শিক্ষা মনে করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটা আনুষ্ঠানিকতা নির্ভর ও অন্য ধর্মের সঙ্গে তুলনায় নিজের ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের চেষ্টায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। যে কারণে ধর্মে-ধর্মে হিংসা-হানাহানি দেখা যায়।

নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ গত সপ্তাহে ১৪ দলের একটি মতবিনিময় সভায় নতুন করে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কথাটি মনে করিয়ে দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন,  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংসদ বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জঙ্গি-সন্ত্রাসী তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গুলশান-উত্তরায় কোনও সিনেমা হল নেই, একটা থিয়েটার নেই। এটা কেন? এটাও আপনাদের ভাবতে হবে। না হলে এসব কর্মকাণ্ড থামানো যাবে না। মামুনুর রশীদ বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাংস্কৃতিক আন্দোলন তীব্রভাবে প্রয়োজন। দেশের সবখান থেকে সাংস্কৃতিক আন্দোলন নিভে গেছে। যেটা সত্যিই খুব দরকার। তবে সাংস্কৃতিক আন্দোলন বলতে কিন্তু আমি গান নাচ নাটক সিনেমা বা চিত্রকলাকে বুঝাচ্ছি না। বই পড়া, মানুষে-মানুষে আলোচনা করা পরস্পরের খোঁজখবর নেওয়া।  মানুষ কী ব্যবহার করছে, এটা কিন্তু তার সাংস্কৃতিক শিক্ষা থেকে হয়। বলা হয় লোকটা কালচার্ড। সাংস্কৃতি হলো ওয়ে অব থিংকিং। যারা খুন করেছে তারা তাদের ওয়ে অব থিংকিং চেঞ্জ করেছে। তারা মানুষকে চাপাতি দিয়ে মারতে বলার আগে কিন্তু তাদের বোঝানো হয়েছে তোমরা বেহেস্তে যাবে। শিক্ষার জায়গাটা করে গেছে।  

উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনা করে রাজনীতি। আর এর পেছনে থাকে সংস্কৃতি। সংস্কৃতি হলো রাষ্ট্র ও জাতির অসাধারণ সম্পদ। এর চর্চা না হলে ছেলেমেয়েরা বিপথগামী হবে, এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। এরই পরিণতি আমরা ইদানিং লক্ষ করছি।  দেশশত্রু মুক্ত হয়েছে।  ভাষা আন্দোলন, আইয়ুববিরোধী আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে যে লড়াই করেছি, স্বাধীনতার পর সেগুলো আর অব্যাহত রাখিনি।  আমরা দেশ স্বাধীনের পর সব দায়িত্বকে শেষ মনে করেছি। এই যে একটা আয়েশি মনোভাব দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। খেলার মাঠ নেই। ভূমিদস্যুরা দখল করে নিচ্ছে। সরকার তার প্রতিকার করছে না। আমরা দেশি-বিদেশি যেসব চলচ্চিত্র দেখছি, তাতে যেসব সংর্ঘষ, গোলাগুলি ও বোমাবাজিসহ মারদাঙ্গার চিত্রায়ন থাকছে, এটা দেখেই ছেলেমেয়েরা প্রভাবিত হয়।

কামাল লোহানী  বলেন, কৈশোর ও কৈশোর উত্তীর্ণ সময়ে এই বিষয়গুলো তাদের আকৃষ্ট করে। এই বিষয়গুলো আমরা বন্ধ করতে পারিনি। এতদিন পরে কেন পিস টিভি বন্ধের কথা এলো। এটা তো আরও বহুবছর আগে বন্ধ হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সরকারের মনের মধ্যে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এত বেশি পেয়ে বসেছে যে, জাকির নায়েকের উস্কানিমূলক কথাবার্তাকেও সহ্য করা হয়েছে। এখন ভারতের দেখাদেখি আমরাও বন্ধ করেছি। বিপদটা ঘাড়ে চেপে বসায় আমরা এটা বন্ধ করেছি। তিনি আরও বলেন, অনলাইনে যেসব গেম খেলা হয়, তাতে মারামারি ছাড়া আর কিছু দেখি না। এটা ঘরের মধ্যে যেমন অভিভাবকের দেখার দরকার রয়েছে, তেমনি সরকারের দায়িত্ব রয়েছে এগুলোকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করার। এগুলো করা হচ্ছে না বলে এই দুরবস্থার মধ্যে পড়েছি। এ জন্য  একে-ওকে দোষ দিয়ে কোনও লাভ নেই। আমরা নিজেরাই নিজেদের কর্তব্য পালন করতে পেরেছি কি না সেটা আগে দেখতে হবে।

কামাল লোহানী বলেন, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের যে প্রয়োজনটা আজকে অনুভব করা হচ্ছে, এটা আরও ৪৫ বছর আগেই করা ‍উচিত ছিল। দেশে কয়টা সংগঠন আছে যে, আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে মানুষের কল্যাণ ও রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করে? খুব বেশি  খুঁজে পাওয়া যাবে না। উদীচীসহ যে কয়টি সংগঠন ‍কিছু কাজ করতে চেয়েছে, সেগুলো নানা ধরনের হয়রানি ও আক্রমণের শিকার হয়েছে।

আরও পড়তে পারেন:  জঙ্গিবাদ দমনে প্রত্যেক এলাকায় কমিটি গড়ে তুলুন : প্রধানমন্ত্রী

/এমএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সংকট থেকে উত্তরণে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান মেননের
সংকট থেকে উত্তরণে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান মেননের
কানে ঝুলছে বাংলাদেশের দুল!
কান উৎসব ২০২৪কানে ঝুলছে বাংলাদেশের দুল!
ধোনি-জাদেজার লড়াই ছাপিয়ে প্লে অফে বেঙ্গালুরু
ধোনি-জাদেজার লড়াই ছাপিয়ে প্লে অফে বেঙ্গালুরু
হীরকজয়ন্তীর পর সংগঠনে মনোযোগ দেবে আ.লীগ
হীরকজয়ন্তীর পর সংগঠনে মনোযোগ দেবে আ.লীগ
সর্বাধিক পঠিত
মামুনুল হক ডিবিতে
মামুনুল হক ডিবিতে
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভালো সড়ক কেটে ২ বছর ধরে খাল বানিয়ে রেখেছে
নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভালো সড়ক কেটে ২ বছর ধরে খাল বানিয়ে রেখেছে
গরমে সুস্থ থাকতে কোন কোন পানীয় খাবেন? ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় কখন জরুরি?
গরমে সুস্থ থাকতে কোন কোন পানীয় খাবেন? ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় কখন জরুরি?