রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে আজ শনিবার (২৭ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন করবেন। বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম হেলাল বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ব্রিফিংয়ে রামপালের বিষয়টি আসতে পারে।
রামপালে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। গত ১২ জুলাই বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার প্রজেক্ট বাস্তবায়নে মূল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কিন্তু তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ পরিবেশবাদীদের অনেকে দাবি করে আসছে, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবনের পরিবেশের ক্ষতি হবে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বহুল আলোচিত হওয়ার কারণ এর নির্মাণস্থল ও পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ (ইআইএ)। কেন্দ্রটির নির্মাণস্থল সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তসীমা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে।
রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা আছে, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে খরচ হয়, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে তার চেয়ে ৬২ শতাংশ বেশি খরচ হবে। রামপাল প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে ১৫ বছরের জন্য কর মওকুফ করেছে, যার আর্থিক মূল্য ৯৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। বিদ্যুৎ প্রকল্পটিতে কয়লা আনার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে নদী খনন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার ব্যয় করতে হবে।
/ইএইচএস/এসটি/