ওষুধ ব্যবসায়ীর পরিচয়ে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার বড় কবরস্থানের বাসাটি ভাড়া নিয়েছিল জঙ্গিরা। গুলশান ও কল্যাণপুরের অভিযানের পর তারা ঢাকা ছেড়ে নারায়ণগঞ্জে আস্তানা গাড়ে বলেও জানান আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক। শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘গুলশান ও শোলাকিয়াসহ বিভিন্ন জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক। সিরিয়া থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সে বাংলাদেশে আসে। তাকে ধরার জন্য কয়েকদিন আগে পুলিশ সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটও তাদের ধরার জন্য কাজ করছিল।’
আইজিপি আরও বলেন, ‘গুলশান ও শোলাকিয়াসহ দেশে যতগুলো জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে তার সবগুলোই এই তামিম চৌধুরীর নেতৃত্বে নিও জেএমবি ঘটিয়েছে। আমরা তামিম চৌধুরীকে খুঁজছিলাম। পরে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারি তামিম চৌধুরী নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছে। সেই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সোয়াত টিম, পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখা ও নারায়ণগঞ্জ পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান চালিয়েছে। অপারেশনের আগে যা যা প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিলো সেগুলো সম্পন্ন করা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন:
মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীর আদ্যোপান্ত
গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত (ভিডিও)
নারায়ণগঞ্জে একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে পুলিশের অভিযান
/জেইউ/এসটি/