চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দুই জঙ্গি আস্তানার জঙ্গিরা হয়তো চট্টগ্রামে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলে ধারণা করছে পুলিশ। পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন। সীতাকুণ্ডের প্রেমতলার ‘ছায়ানীড়’ নামের বাড়িতে চালানো অপারেশন ‘অ্যাসল্ট সিক্সটিন’ শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
চট্টগ্রামে মীরসরাই ও সীতাকুণ্ডে পরপর জঙ্গিদের কয়েকটি আস্তানা শনাক্তের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিআইজি বলেন, ‘সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ বাধাগ্রস্ত করার জন্যই জঙ্গিরা তৎপর হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।’
এসময় শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামে এখন অনেক বিদেশি কর্মরত রয়েছেন। জঙ্গিরা হয়তো তাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল।’
তিনি জানান, অপারেশন শেষে এখন বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট বাসার ভেতরে প্রবেশ করছে। তারা বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজ করছে।
অপারেশন অ্যাসল্ট সিক্সটিনের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ভোর সোয়া ৬টা থেকে সোয়া এক ঘণ্টার অভিযান চালানো হয়। ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সোয়াত টিমের নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেন চট্টগ্রাম সোয়াত, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। অভিযান শুরুর পর সোয়াত সদস্যদের লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। অভিযানে এক নারী ও তিন পুরুষ জঙ্গি নিহত হয়েছে। নিহত জঙ্গিদের সবাই নব্য জেএমবির সদস্য।
এর আগে বুধবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যার পর সীতাকুণ্ড পৌরসভার আমিরাবাদ এলাকায় নামারবাজারে ‘সাধনকুটির’ নামের একটি বাড়ি থেকে জসিম ও আরজিনা নামের দুই জঙ্গিকে আটক করে পুলিশ। ওই নারীর গায়ে আত্মঘাতী হামলার ভেস্ট ছিল। সাধনকুটির থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
/টিআর/এফএস/
আরও পড়ুন-
- অপারেশন অ্যাসল্ট সিক্সটিন: চার জঙ্গি নিহত
- দুই জঙ্গির লাশের ছবি প্রকাশ
- সীতাকুণ্ডে অভিযান: সোয়াত সদস্যদের ওপর জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলা
- সীতাকুণ্ডে জঙ্গি আস্তানায় সোয়াতের অভিযান শুরু, চলছে গোলাগুলি
- কয়েকটি পরিবারকে জিম্মি করেছে জঙ্গিরা
- জঙ্গি আস্তানা থেকে থেমে থেমে গুলির শব্দ আসছে
- জঙ্গিরা ‘সাধনকুটির’ বাড়িটি ভাড়া নেয় ২৭ ফেব্রুয়ারি
- সীতাকুণ্ডে আটক নারীর কোমরে ছিল আত্মঘাতী ভেস্ট
- সীতাকুণ্ডে দুটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান: আটক ২, অবরুদ্ধ ৩