প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বন্ধুপ্রতীম ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিশেষ তাৎপর্যময়।’ ভারত সফর নিয়ে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, বঙ্গবন্ধুর এই নির্দেশনা মেনে চলছি বলেই সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক মেনে চলতে সক্ষম হয়েছি। সুসম্পর্ক রাখার কারণ, ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যায় যে ক্ষতি হয়েছে তাতে নিশ্চয়ই অনেকে উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে, কতো সময় আমাদের নষ্ট হয়ে গেছে। এ সময় বাংলাদেশের মানুষের জীবনে যে উন্নতি হতে পারতো তা হয়নি।’
ভারত সফরকালে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের শহীদ সাতজনের পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত মিত্রবাহিনী হিসেবে সহযোগিতা করেছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছেন। যারা সহযোগিতা করেছেন আমরা তাদের সম্মাননা জানিয়েছি। যাদের সহযোগিতায় স্বাধীনতা পেয়েছি তাদের সম্মান দেখানো জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে উঁচুতে নিয়ে গেছে।’
উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নিয়ত ভালো থাকলে সবকিছু করা যায়। আমরা ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। যত্রতত্র না করে শিল্প এলাকা তৈরি করছি। আমরা সেখানে বিনিয়োগ করতে বলেছি। আমাদের ব্যবসায়ীরা অনেকেই নিজেদের অংশীদার পেয়ে গেছে। এখন চাহিদা বদলে গেছে। আগে গ্রামাঞ্চলে গেলে কঙ্কালসার মানুষ সামনে এসে হাত বাড়িয়ে বলতো— মা ভাত দে। এখন বলে— রাস্তা চাই, বিদ্যুৎ চাই।’
প্রধানমন্ত্রী তার সফরের বিভিন্ন বৈঠক ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বিষয়াদি উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি জানান, ‘এ সফরে ভারতের সঙ্গে ৩৫টি দলিল, ২৪টি সমঝোতা স্মারক ও ১১টি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ভারতে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে সোমবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। গত ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা ত্যাগ করেন। আর ৮ এপ্রিল দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শীর্ষ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোট ৩৬টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।
/পিএইচপি/ইউআই/জেএইচ/
আরও পড়ুন: