প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা জানাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেছেন কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আলেমরা। রবিবার সকাল ৭টা থেকেই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করছেন তারা।
আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের আয়োজিত এই শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কওমি সনদের স্বীকৃতি দেওয়ায় সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
হাইআতুল উলয়াভুক্ত ছয়টি বোর্ডের শিক্ষক-ছাত্র ছাড়াও আলেমরা এ মাহফিলে যোগ দিচ্ছেন। এ মাহফিলে যোগ দিতে চট্টগ্রাম থেকে এরই মধ্যে শনিবার (৩ নভেম্বর) রাতে ঢাকায় এসেছেন আহমদ শফী।
আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীকেও এই মাহফিলে সংবর্ধনা জানানো হবে। এই শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মাননা জানিয়ে ক্রেস্ট দেওয়া হবে। একইসঙ্গে দেওয়া হবে আহমদ শফীকেও।
মাহফিলে বেশি কিছু দাবিও তুলে ধরা হবে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, কাদিয়ানিদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা, ইসলামবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করা এবং আলেম, ইমাম ও ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হয়রানির মামলা প্রত্যাহার করা। বিশেষ করে হেফাজতের ৫ মে শাপলা চত্বরে সমাবেশকে কেন্দ্র করে হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহারের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাইআতুল উলয়ার একাধিক নেতা।
বেফাক মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, ‘শোকরানা মাহফিল সফল করতে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। অনুষ্ঠানে কওমি সনদের স্বীকৃতির জন্য দোয়া করা হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের (তাকমীল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান আইন, ২০১৮ পাস হয়।
আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনায় ১০ লাখ মানুষের সমাগম হবে: মাওলানা মাসঊদ