করোনায় রবিবার (২৪ মে) পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে ৪৮০ জনে প্রাণ। এমন পরিস্থিতিতে আজ সোমবার (২৫ মে) পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। করোনার কারণে প্রতিবছরের মতো এবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ দেশের কোনও ঈদগাহে জামাত হয়নি। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের জামাতসহ অন্যান্য মসজিদগুলোয় জামাত হয়েছে। নামাজ শেষে প্রতিটি মসজিদে করোনা থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে।
বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায়, সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাত এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় প্রতিটি জামাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসল্লিরা অংশ নিয়েছেন। মসজিদের প্রবেশ মুখে লাইন ধরে যেতে হয়েছে মুসল্লিদের। জীবানুমুক্ত করণ চেম্বারের ভেতরে দিয়ে যেতে হয়েছে সবাইকে। মাস্ক পড়া ছাড়া কাউকেই মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ পড়তে হয়েছে সবাইকে। তবে শিশু ও বয়স্কদের মসজিদে আসতে মানা করা হলেও তা মানা হয়নি।
প্রতিবার জামাতের আগে বয়ানে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান খতিব। নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনা থেকে মুক্তির জন্য করা হয় দোয়া।
রাজধানীর মিরপুর, কল্যাণপুর, তেজগাঁও, কাকরাইল, পল্টনসহ অন্যান্য এলাকার মসজিদগুলোতেও দেখা গেছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ অংশগ্রহণন করতে। তবে যারা মাস্ক না পরে এসেছিলেন তাদের মসজিদে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কোনও কোনও মসজিদের পক্ষ থেকে মাস্ক নিয়ে আসা মুসল্লিদের দেওয়া হয়েছে মাস্ক। নামাজের কাতার হয়েছে ফাঁকা ফাঁকা দাঁড়িয়ে। তবে কোথাও কোথাও মুসল্লিরা মাস্ক পড়ে মসজিদে প্রবেশ করার পর মুখ থেকে খুলে ফেলতে দেখা গেছে। মসজিদের প্রবেশ মুখেই স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে মুসল্লিদের।
কলেজ গেট জামে মসজিদে দেখা গেছে অনেক মুসল্লি মাস্ক না পড়েই মসজিদে এসেছেন। রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম শাহী জামে মসজিদে মুসল্লিদের মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি মসজিদেই নামাজ শেষে করোনা মুক্তির জন্য মোনাজাত করা হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে জোর দিয়েই বলা হয়েছে, মহামারিকালের এই ঈদে কোলাকুলি থেকে বিরত থাকতে হবে। তারপরও কোথাও কোথাও কোলাকুলি করতে দেখা গেছে।