সরকারের যেকোনও উন্নয়ন প্রকল্পে ‘অস্বাভাবিক খরচ’-এর বিষয়টি স্বীকার করেছেন সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ ৩০টি মন্ত্রণালয়ের সচিব। এটি গ্রহণযোগ্য নয় বলেছেন সচিবরা। এই অস্বাভাবিক খরচের বিষয়টি তারা আর মানবেন না বলে একমত হয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এর বাস্তবায়ন দেখা যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে সরকারের ৩০টি মন্ত্রণালয়ের সচিবের অনুষ্ঠিত বৈঠকে সচিবরা এই প্রতিশ্রুতি দেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘‘উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ করা অর্থ সরকারের নয়, এটি জনগণের অর্থ। জনগণের অর্থ যদি অপচয় হয় বা খরচ বেশি করি, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণের অর্থ নিয়ে ‘নয়-ছয়’ হতে দেওয়া যাবে না। বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সবাই স্বীকার করি যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি আছে। বিষয়গুলো ভুল বা মানবসৃষ্ট সমস্যা হিসেবেই নেবো, কিন্তু বারবার মানুষের ভুল তো গ্রহণযোগ্য নয়।’’
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘সবাই মিলে একমত হয়েছি যার যার অবস্থান থেকে এটা মোকাবিলা করবো। এ বছর থেকে কাজ শুরু করলাম, নতুন প্রকল্পগুলোর জন্য আমরা অনেকটা স্ট্রিনজেন হবো। প্ল্যানিং কমিশনে আমরা মোস্ট স্ট্রিনজেন হবো। যারা প্রকল্প তৈরি করবে, তারা আগের তুলনায় অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করবেন যাতে এ ধরনের কাজ আগামীতে আর না হয়।’
পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, একজন লোকের কাছে চারটা, পাঁচটা, ছয়টা প্রকল্প; এমনকি ১০টা প্রকল্পও পাওয়া গেছে। এটা আমাদের সার্কুলারবিরোধী, বিধানবিরোধী। তারপরও করে যাচ্ছি এটা। সুনামগঞ্জের প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ঢাকায়, এটাও গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সচিবরা বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব কী কী শাস্তির বিধান আছে, সেগুলো উল্লেখ করেছেন। জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে তিনি আবার বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির জন্য নয়, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যেকোনও পরিস্থিতিতে আমাদের পরিহার করতে হবে, এটা অপরিহার্য। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন সময় আমি শেয়ার করেছি। তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।’