মতিঝিলে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্ষোভ করেছে সৌদি আরব থেকে ছুটি এসে আটকে পড়া প্রবাসীরা। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে অফিসের ভেতরে ঢুকে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা কর্মচারীদের গালাগাল করেন। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের ঢাকা থেকে ফ্লাইট বাতিল করার প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করেন।
এ বিষয়ে জানতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক ( জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকারকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সৌদি আরবে নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সৌদি আরবের সিভিল এভিয়েশনের কাছে অনুমতি চায়। অন্যদিকে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বেবিচকের র কাছে অনুমতির আবেদন করে। বেবিচক সৌদি অ্যারবিয়ান এয়ারলাইন্সকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিলেও, সৌদি আরব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয়নি।
আকাশপথ নীতিমালা অনুসারে, বাংলাদেশ সৌদি আরব থেকে যে কয়টি ফ্লাইটের অনুমতি দেবে, সৌদি আরবকেও বাংলাদেশে থেকে একই পরিমান ফ্লাইটের অনুমতি দিতে হবে। কিন্তু সৌদি আরব সে নীতি মানেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেবিচক রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি বাতিল করে।
সোমবার সকাল থেকেই মতিঝিলে বিমানের অফিসের সামনে জড়ো হতে থাকেন প্রবাসীরা। সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সে ফ্লাইট বাতিলের জন্য বিমানকে দুষছেন তারা। হাফিজুর রহমান নামের এক প্রবাসী বলেন, দেশে আটকে পড়াদের দ্রুত সৌদি যাওয়ার ব্যবস্থা কর হোক। বিমানের কাছে এক টিকেট যারা পাবেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হোক। দুর্নীতিবাজ ও চাটুকার বিমান একটি লস প্রজেক্ট।
সুমন মিয়া বলেন, ‘সৌদি এয়ারলাইন্সকে ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিলেন না, না দেওয়ার কারণে যাদের ভিসার মেয়াদ চলে যাবে অথবা আর আসতে পারবে না, তাদের ক্ষতিপূরণ কে দেবে? বিমান পরিচালনা অনুমতিদেয় নি বলে সৌদি এয়ারলাইন্স বন্ধ করবেন। অনেক সৌদি প্রবাসীকে হুমকির মুখে ফেলছেন না তো ।
দুপুর ২টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন অনেক প্রবসাী। সেখানেও বিক্ষোভ করেন তারা।