স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ কখনও জঙ্গিবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়নি। দেবেও না। বর্তমান সরকারের জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি শুধু মুখের কথা নয়, এটা দৃশ্যমান বাস্তবতা। সরকারের বিভিন্ন কমিটমেন্ট এবং গৃহীত কার্যক্রমই এর প্রমাণ। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে পুলিশের ‘অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট’ পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘জঙ্গিবাদ দমনে প্রধানমন্ত্রী আপসহীন এবং আন্তরিক। তিনি পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। হলি আর্টিজানে হামলার পর দ্রুততম সময়ে সামগ্রিক প্রয়োজনের ভিত্তিতে আমরা ‘অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট’ সৃষ্টি করেছি। আইনগতভাবে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছি। অত্যন্ত স্বল্পসময়ের মধ্যে বিশেষায়িত এ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠাকালীন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও জনমানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে।’ তিনি এই ইউনিটের সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণেরও অঙ্গীকার করেন।
অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মো. কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাস্তবতার নিরিখেই জঙ্গিবাদের উত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে এই ইউনিটটির জন্ম। বিশ্বে যখন জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল, তার প্রভাব বাংলাদেশেও এসে পড়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটিইউ’র জন্ম হয়। সরকারের একটি অগ্রাধিকারমূলক ইস্যু হচ্ছে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমন। বিগত এক দশকে বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গিবাদকে একটি সহনীয় মাত্রায় নিয়ে আসতে পেরেছে।’ তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে এটিইউ অনেক ভালো কাজ করেছে। জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এই ইউনিটের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।’
সভাপতির বক্তব্যে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. কামরুল আহসান বলেন, ‘ইতোমধ্যে সরকারের আন্তরিকতায় দেশব্যাপী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে অ্যাপেক্স বডি হিসেবে কাজ করার সুযোগ দিয়ে ‘অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট বিধিমালা-২০১৯’ তৈরি হয়েছে। এটিইউ’র প্রত্যেক সদস্য তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় আন্তরিক ও নিরাপদ স্বদেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ।
