অনিবন্ধনকৃত রোহিঙ্গাদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়। এটি চলবে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ সংক্রান্ত বিষয়ে আজ বিকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় শনিবার সকাল থেকে প্রাথমিকভাবে তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়।
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের লেদা’র দুটি শরণার্থী ক্যাম্পে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা রয়েছেন প্রায় ৩৩ হাজার। এছাড়াও কুতুপালং, লেদা ও শামলাপুরে রয়েছে আরও ৩টি অনিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্প। এ তিনটি অনিবন্ধিত ক্যাম্পসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত আরও ৫ লাখ রোহিঙ্গা। যাদের কোনও সঠিক পরিসংখ্যান সরকারের কাছে নেই।
পরিসংখ্যান ব্যুরো কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ওয়াহিদুর রহমান জানান, রোহিঙ্গা শুমারির মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক তালিকা তৈরির কাজ চলবে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির বসবাস রয়েছে কক্সবাজারসহ এমন ৬টি জেলায় এ শুমারির কাজ শুরু হবে। অন্য জেলাগুলো হল চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও পটুয়াখালী।
তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির উল্লেখযোগ্য বসবাস রয়েছে এমন এলাকাকে ৪৯টি জোনে ভাগ করে তালিকা তৈরির কাজ চলছে। এই ৪৯টি জোনে বসবাসকারী বাংলাদেশী নাগরিক ও রোহিঙ্গা সবারই প্রাথমিকভাবে এ তালিকা তৈরি করবে শুমারি কাজে নিয়োজিতরা। পরে সংগৃহিত তালিকা থেকে যাচাই-বাছাই করে শুধু রোহিঙ্গাদের আলাদা তালিকা তৈরি করা হবে। মার্চের শেষের দিকে রোহিঙ্গাদের তালিকাভুক্তির চূড়ান্ত শুমারি হবে। এরপর শুমারিতে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের মাঝে পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে।
/এসটি/