নেপালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ হারানো শাহীন ব্যাপারীর মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ নেওয়া হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১২ মার্চ নেপালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হলে আহত হন শাহীন ব্যাপারী। ওই দুর্ঘটনার পর গত ১৮ মার্চ তাকে দেশে নিয়ে আসা হয়। ভর্তি করা হয় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে। সেখানে ৯ দিন চিকিৎসার পর আজ সোমবার (২৬ মার্চ) বিকাল ৫টায় মৃত্যু হয় তার।
এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, বিকালে শাহীনের মৃত্যুর পর তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এরপর রাত ৮টা ২০ মিনিটে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয় পরিবারের কাছে। রাত ৯টার দিকে তারা শাহীন ব্যাপারীর মরদেহ নিয়ে ঢামেক হাসপাতাল থেকে নারায়ণগঞ্জের পথে রওনা হন।
শাহীনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পূর্ব মিজমিজি এলাকায় সপরিবারে থাকতেন তিনি। সেখানেই তার দাফন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তার ভাই চঞ্চল।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ঢাকা থেকে রওনা দেওয়া ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা ৬৭ যাত্রীসহ ৭১ জন আরোহীর মধ্যে ৪৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি ২৬ জন। আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে একজনকে নেওয়া হয় ভারতের দিল্লিতে, দু’জনকে সিঙ্গাপুরে। বাকি সাত জনকে দেশে নিয়ে এসে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে রবিবার মধ্যরাতে কবীর হোসেনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিঙ্গাপুরে। আর আজ সোমবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন শাহীন।