X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাবিতে মুক্তিযুদ্ধের জন ইতিহাস বিষয়ক সেমিনার

বাংলা ট্রিবিউন ডেস্ক
০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:০৯আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ২২:৩৭

জাবিতে মুক্তিযুদ্ধের জন ইতিহাস বিষয়ক সেমিনার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) হয়ে গেলো ‘মুক্তিযুদ্ধের জন-ইতিহাস’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার। গত ৪ ডিসেম্বর জাবি’র জহির রায়হান মিলনায়তনে ও ইতিহাস বিভাগে ৯টি সেশনে ছিল দিনব্যাপী এই আয়োজন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে দেশের আপামর জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেন। সব শ্রেণিপেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এমন জনযুদ্ধ করে বিশ্বের অন্য কোনও দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেনি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এই জনযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে।’

বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনসাধারণকে এক ও অভিন্ন হিসেবে অভিহিত করেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ। তার কথায়, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল জনতার যুদ্ধ। যে যুদ্ধে ৩০ লাখ লোকের প্রাণহানি ঘটে, সেটাকে জনযুদ্ধ ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না। বঙ্গবন্ধুর কথায় বাংলার জনসাধারণ এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।’

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. আরিফা সুলতানা। তিনি জাবি’র ইতিহাস বিভাগের সভাপতি। যৌথভাবে এটি আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের জন-ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র ও জাবি’র ইতিহাস বিভাগ।

অনুষ্ঠানে জন-ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল বলেন, ‘জনগণ ইতিহাসের অংশ। তাই ইতিহাস রচনায় তাদের কথা থাকা চাই। ইতিহাসকে জনগণের কাছে নিতে হবে। জনগণকে কেন্দ্র করে ইতিহাস চর্চা করতে হবে।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোজাহিদুল ইসলাম ও কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশের যুদ্ধশিশু বিষয়ক গবেষক মুস্তাফা চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেমিনারের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এটিএম আতিকুর রহমান।

‘ইন্টেলেকচুয়াল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাক্টিভিটিস’ সেশনে আমন্ত্রিত বক্তা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ একাডেমির সভাপতি ড. আবুল কালাম আজাদ। তিনি মুক্তিযুদ্ধে নিজের লোমহর্ষক বাস্তবতা তুলে ধরে জানান, মুক্তিযুদ্ধের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে স্বাধীন বাংলা বেতারের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তার কথায়, বাস্তবতা আর বইয়ের পাতা ভিন্ন। সবশেষে ২০২১ সালের মধ্যে তথা স্বাধীনতার ৫০ বৎসর উদযাপনে বাংলাদেশকে একটি সভ্য, অসাম্প্রদায়িক ও উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা ও কবিগানের গায়ক লাল মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী পর্ব শেষে ৯টি সেশনে ৪০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। সেমিনারে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের শিক্ষক ও ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন।

/জেএইচ/
সম্পর্কিত
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ
সেন্ট জোসেফ স্কুলে তিন দিনব্যাপী লিট ফেস্টিভ্যাল শুরু
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
সর্বশেষ খবর
ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে গিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে গিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
শান্ত-লিটনদের ব্যাটিং দেখে ভয় হচ্ছে বিসিবি সভাপতির
শান্ত-লিটনদের ব্যাটিং দেখে ভয় হচ্ছে বিসিবি সভাপতির
প্লে অফের দিন বেছে নিতে দুই ক্লাবকে চিঠি
প্লে অফের দিন বেছে নিতে দুই ক্লাবকে চিঠি
সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রাজনৈতিক মামলা
অরাজনৈতিক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশসিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রাজনৈতিক মামলা
সর্বাধিক পঠিত
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র