X
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আবার ঢামেকে আবুল বাজানদার

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:০১আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:১৪

আবুল বাজানদার (ফাইল ছবি)

আবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছেন বৃক্ষমানব  হিসেবে পরিচিতি  পাওয়া আবুল বাজানদার। চিকিৎসারত অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার প্রায় আট মাস পর আজ রবিবার (২০ জানুয়ারি) তিনি সশরীরে ঢাকা মেডিক্যালে উপস্থিত হন। আবারও ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তিনি।

এ ব্যাপারে বাজানদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমি এখানে আবার এসেছি। আমার সঙ্গে ডা. সামন্ত লাল সেন স্যার আর আবুল কালাম আজাদ স্যারের কথা হয়েছে। উনারা আমাকে আগামীকাল ভর্তি করবেন বলে জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের পরিচালক ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘আবুল বাজানদার হঠাৎ কয়েকদিন আগে আমাকে ফোন করেছিল। এর আগে বহুবার আমাকে ফোন করেছে। আমি তাকে প্রত্যেকবার আসতে বলেছি। একটিবারও সে আমার কথা শোনেনি। তিন-চারদিন আগে ফোন করায় তাকে আবারও বলেছি, ‘তুমি আসো’। এবার সে এসেছে। আজকে হাসপাতালে এসেছে। আমরা তাকে রেখেছি। কালকে তাকে ভর্তি করবো। এখন সে হাসপাতালেই আছে। আমরা ওর চিকিৎসা শুরু করবো।  তবে, সে এখন যে অবস্থায় এসেছে, যদি আরও আগে আসতো তাহলে অনেক সহজে জিনিসটাকে ট্যাকেল করা যেতো।’’

বাজানদার কী আগের অবস্থায় ফিরে গেছেন জানতে চাইলে ডা. সামন্ত লাল বলেন, ‘সে অবস্থায় যায়নি তবে কাছাকাছি। তার চিকিৎসা এখন সেই আগের অবস্থা থেকে শুরু করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এখন সে হাসপাতালে আছে। আমি দুই একদিন পরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো, আমি বিষয়টি তাকে জানাবো। উনি তো নিশ্চয় আগের মতোই তার চিকিৎসার খরচ চালাবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু রোগের চিকিৎসা করি। রোগীর না। এই বাজানদার আমাদের এখানে অনেকের সঙ্গে অনেক কিছু করে গেছে। কিন্তু আমি তা তাকে কোনোদিন বুঝতে দেইনি। হাসপাতালের দরজা তার জন্য সবসময় খোলা। সে হাসপাতালে এসেছে, তার চিকিৎসা হবে। রোগীদের একটা জিনিস বোঝা উচিত যে হাসপাতাল থেকে চলে গেলে সব সমস্যার সমাধান হয় না। সবসময় হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয়। এটার বড় উদাহরণ বাজানদার।

 উল্লেখ্য, চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছরের ২৬ মে কাউকে কিছু না জানিয়েই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান ‘বৃক্ষমানব’ খ্যাত আবুল বাজানদার। অথচ ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আবুল বাজানদার যখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রথম ভর্তি হন তখন তার হাত-পা স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল না। গাছের শিকড়ের মতো শক্ত অতিরিক্ত অংশ দুই হাত ও পা বদলে দিয়েছিল। এরপর তার চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্দেশ দেন আবুলের সব খরচ রাষ্ট্রীয়ভাবে করার। থাকা-খাওয়া, ওষুধ, অপারেশন কোনোকিছুর জন্যই আবুলকে অর্থ দিতে হয়নি। সব খরচ বহন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারপরও ব্যক্তিগত কিছু কারণে হাসপাতাল ছেড়েছিলেন তিনি।

/টিওয়াই/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
২১ দিনের অভিযানে ৩১ মাওবাদীকে হত্যার দাবি ভারতের
২১ দিনের অভিযানে ৩১ মাওবাদীকে হত্যার দাবি ভারতের
নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে উঠতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ 
নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে উঠতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে প্রতিবাদ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে প্রতিবাদ
সর্বাধিক পঠিত
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সতর্ক করে জরুরি নির্দেশনা মাউশির
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সতর্ক করে জরুরি নির্দেশনা মাউশির
সাতক্ষীরার হিমসাগর আমে বাজার সয়লাব, কেজি ৪৫ টাকা
সাতক্ষীরার হিমসাগর আমে বাজার সয়লাব, কেজি ৪৫ টাকা
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল অধ্যাদেশ অনুমোদন
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল অধ্যাদেশ অনুমোদন
ফ্যাক্টরি পোড়ানোর হুমকি দেওয়া সেই বিএনপি নেতাকে বিমানবন্দর থেকে আটক
ফ্যাক্টরি পোড়ানোর হুমকি দেওয়া সেই বিএনপি নেতাকে বিমানবন্দর থেকে আটক
রাতের আঁধারে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে দেড় ঘণ্টা অবরোধ
রাতের আঁধারে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে দেড় ঘণ্টা অবরোধ