X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

‘ইউনাইটেড হাসপাতালের ফায়ার এক্সটিংগুইশারগুলো ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৮ মে ২০২০, ১৩:৪৩আপডেট : ২৮ মে ২০২০, ১৩:৫৪

ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড, ছবি: সংগৃহীত ‘মেয়াদোত্তীর্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিল ইউনাইটেড হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা। মেয়াদোত্তীর্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নেভানো যায় না। এগুলো কাজ করে না। এর দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। দেড় মাস আগেই ফায়ার এক্সটিংগুইশারগুলো রিফিল করা উচিত ছিল’, বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ইউনাইটেড হাসপাতালে ফায়ার হাইড্রেন্ট থাকলেও তা ফায়ার সার্ভিস আসার আগে ব্যবহার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (ঢাকা বিভাগ) দেবাশীষ বর্ধন। অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান দেবাশীষ বর্ধন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আগুন আরও  আগে লাগলেও আমরা কন্ট্রোল রুমে তথ্য পেয়েছি ৯টা ৫৫ মিনিটে। আমাদের লোকজন আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। হসপিটাল কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। মেয়াদোত্তীর্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইশার তো কাজ করবে না। কাজ করেও নাই। আমাদের ইউনিটগুলো আসার পর দেখেছে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। অগ্নিনির্বাপণ করার পর আমরা পাঁচটি লাশ উদ্ধার করেছি।’

মেয়াদোত্তীর্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইশার রাখার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা, জানতে চাইলে দেবাশীষ বর্ধন বলেন, ‘অবশ্যই। আমরা তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করবো। মেয়াদোত্তীর্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইশার রাখার দায় হাসপাতালের। দেড়মাস আগেই রিফিল করা উচিত ছিল। হাসপাতালে ফায়ার হাইড্রেন্ট ছিল। কিন্তু আমরা আসার আগে কেউ কাজ করেনি। আমরা আসার পর একটা লাইন খোলা হয়।’

আগুন লাগার কারণ তদন্ত করতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তার, বিভিন্ন ডিভাইস, এসির ভেতরে থাকা দাহ্য পদার্থ ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান দেবাশীষ বর্ধন। তার ভাষ্য— ‘ভেতরে এসি ছিল, অনেক ইলেকট্র্রিকাল ডিভাইস ছিল, এসিগুলো নেগেটিভ প্রেসারে ছিল। আমরা সবগুলো খতিয়ে দেখছি।’

সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নামে মাত্র ইউনিট খুলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল কিনা, জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগের এই উপপরিচালক বলেন, ‘অবকাঠামো দেখে তাই মনে হচ্ছে। এ ধরনের রোগীর ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া দরকার ছিল। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, হাসপাতালগুলো আইসোলেশন সেন্টার করলেই হবে না,  ফায়ার প্রটেকটিভ মেজারটাও রাখতে হবে। সার্বক্ষণিক একটি টিম অবশ্যই রাখা উচিত ছিল।’

অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় আইসোলেশন সেন্টারে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বুধবার (২৭ মে) রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতালের বর্ধিত অংশে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। তাদের তিনটি ইউনিট কাজ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পাঁচ জন রোগী মারা যান, যারা হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আইসোলেশনে ছিলেন। পাঁচ জনের মধ্যে চার জন পুরুষ ও এক নারী।

আরও পড়ুন:

ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুনের ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি

‘স্যানিটাইজারের কারণে বাড়ে আগুনের তীব্রতা’

ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আগুন, ৫ রোগীর মৃত্যু

 

/আরজে/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শর্টকাটে বড়লোক হতে গিয়ে
শর্টকাটে বড়লোক হতে গিয়ে
নারী ফুটবল লিগ থেকে চারটি দলের ভোটাধিকার থাকছে!
নারী ফুটবল লিগ থেকে চারটি দলের ভোটাধিকার থাকছে!
থেমে থাকা ট্রাকে পিকআপের ধাক্কা, ২ জন নিহত
থেমে থাকা ট্রাকে পিকআপের ধাক্কা, ২ জন নিহত
প্রতিদিন মা হারাচ্ছে ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু
প্রতিদিন মা হারাচ্ছে ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?