‘বিচার চাই না, আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে রাখলাম’–মেয়ে হত্যার বিষয়ে এভাবে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করছিলেন সামিয়া আফনান প্রীতির বাবা মো. জামাল উদ্দিন। শুক্রবার (২৫ মার্চ) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুর আমতলা রেলগেট এলাকায় বান্ধবীর সঙ্গে রিকশায় থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হন সামিয়া আফরিন। পরে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মূলত যানজটে আটকে থাকা মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিটুকে এক দুর্বৃত্ত গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় পাশের রিকশায় থাকা সামিয়ার শরীরেও গুলি লাগে।
বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী নিহত সামিয়ার বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, ‘একজনকে মারতে গিয়ে আমার মেয়ের শরীরে গুলি লেগেছে। সন্তানের এমন মৃত্যু কোনও বাবা-মা চান না।’
তিনি বলেন, ‘আমি তো আমার মেয়েকে হারিয়েছি। যা হারিয়েছে, আমার হারিয়েছে। সম্পদ গেলে ফিরে পাওয়া যায়, কিন্তু কোনও প্রাণ গেলে তা আর ফিরে পাওয়া যায় না। এখন পর্যন্ত কোনও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ইচ্ছে আমাদের নেই।’
‘ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। পরে শাহজাহানপুরে কবর দেওয়া হবে,’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন জামাল উদ্দিন।
তিনি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মায়ের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় সামিয়ার। তখন তাদের মধ্যে একটি কথাই হয়, “তোর মামা আমাদের বাসায় এসেছে, তোর আজ বাসায় আসা দরকার নেই, বান্ধবীর বাসায় থাক।” পরে সামিয়া বান্ধবীর বাসায় ফিরে যাচ্ছিল। তখনই এ ঘটনা ঘটে। ওর বান্ধবীও সঙ্গে ছিল।’