ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিলের প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেলেন। নির্বাচনে অংশ নিতে তার কোনও বাধা থাকলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার (৮ জুন) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজি জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও এমএস সাঈদ আহমেদ রাজা। ইসি’র পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম। অপর প্রার্থীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফিদা এম কামাল।
এর আগে গত ২ জুন ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে একাধিকবার নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন প্রশাসন) মো. মিজানুর রহমান প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ দেন। প্রার্থিতা বাতিল করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে বলা হয়, যেহেতু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৫ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন। সেহেতু, এ ক্ষণে পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৫ এর বিধি ৩২ অনুসারে নির্বাচন কমিশন ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল করা হলো। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সময়সূচি অনুসারে আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠেয় ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেয়র প্রার্থী মো. আবুল খালেক ও তার সমর্থকরা মিছিল-শোভাযাত্রা করে গত ১৮ মে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়েছেন, যা ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আব্দুল খালেক তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদীর প্রচারে বাধা দিয়েছেন।
আগামী ১৫ জুন ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচন। এ নির্বাচনে আব্দুল খালেক বাদে মেয়র প্রার্থী তিন জন। তারা হলেন—স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, মিজানুর রহমান মাসুম এবং ইসলামী অন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম।
পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আব্দুল খালেক। সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৭ জুন মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।