জাতীয় পুষ্টিসেবার (এনএনএস) লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীরা এখন এগিয়ে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ সময়কালে নারীদের পরিচালিত ব্যবসা কেন্দ্রের ভূমিকা এবং সাফল্যের গল্প তুলে ধরতে জিআইজেড, ইউনাইটেড পারপাস, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা এবং এমপাওয়ার আয়োজিত এক কর্মশালার একথা বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল আমারিতে দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, জিআইজেড জার্মানির অ্যাডভাইসর ক্রিস্টিনা স্টেনসেল এবং জিআইজেড বাংলাদেশের কর্মকর্তা ডেভিড নেসচার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শতরুপা চাকমাসহ আন্তর্জাতিক ও দেশীয় উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তারা। আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি এবং জামালপুর জেলার নারী পরিচালিত ব্যবসা কেন্দ্রের উদ্যোক্তারা।
অনুষ্ঠানে খুলনার ছয়ঘরিয়ার নারী পরিচালিত ব্যবসা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা বন্দনা রায় বলেন, ‘আমরা এমহেলথ সেবার মাধ্যমে গ্রামের মানুষদের কম খরচে ঢাকার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে সংযোগ করিয়ে দিচ্ছি। ফোনের মাধ্যমে ডাক্তাররা রোগের বর্ণনা শুনে সেবা দিচ্ছেন, যা গ্রামের মানুষ আগে কখনও কল্পনা করতে পারতো না। গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তি সহজ হয়ে উঠেছে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড পারপাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডাইরেক্টর শ্রী রামাপ্পা গঞ্চিকারা। তিনি বলেন, ‘আমরা নারী’ পরিচালিত ব্যবসা কেন্দ্রের উদ্যোক্তাদের এ সাফল্য উদযাপন করতে চাই। নারীদের পরিচালিত ব্যবসা কেন্দ্রের কর্মকাণ্ড আরও সুসংহত করে এ উদ্যোগকে নারী নেতৃত্ব ও ক্ষমতায়নের জন্য ছড়িয়ে দিতে হবে। যেন এ স্বপ্নের পরিধি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।’
প্রকল্পের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তারা আইসিটি-ভিত্তিক অ্যাপ পরিচালনায় দক্ষতা অর্জন করেছে এবং স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে অ্যাপের মাধ্যমে কম খরচে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে। যারা আগে কখেনও স্মার্ট ফোন/মোবাইল ব্যবহার করেননি, তারা এখন অনেক আত্মবিশ্বাসী। ডব্লিউবিসির একজন নারী উদ্যোক্তা পুষ্টি এবং অপুষ্টির সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করা, হাত ধোয়া ও মাস্ক পরার বিষয়ে সচেতনতার বার্তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।’
আয়োজকরা জানান, ‘মোবিলাইজিং রুর্যাল উইমেন এন্টারপ্রেনার্স ফর কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকোভারি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর হতে বাংলাদেশের খুলনা, জামালপুর, নোয়াখালী এবং খাগড়াছড়ি জেলার ১১ উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।