আগামীকাল ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া অমর একুশে বইমেলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, ‘কোনও লেখক বা প্রকাশকের উপর হুমকির শঙ্কা থাকলে আমাদের জানাবেন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবারের মেলাকে কেন্দ্র করে কোনও সুনির্দিষ্ট হুমকি না থাকলেও, হুমকি বিষয়টি মাথায় রেখে অন্য বছরের চেয়ে এবছর কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে।’
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ উপলক্ষে মেলাস্থানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থাপিত অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার এসব কথা জানান।
এবারের বইমেলায় থাকছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বইমেলা ঘিরে যাতে কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়টিকে মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। পুরো বইমেলায় ১৫০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া সাদা পোশাকেও গোয়েন্দারা কাজ করবেন।’
মেলা কেন্দ্রিক নিরাপত্তার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শাহবাগ ও নীলক্ষেত কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, ‘বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশে তল্লাশি দল থাকবে, সন্দেহজনক কিছু দেখলে তারা তল্লাশি করবেন। মূল মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের আগে প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। কাউকে সন্দেহ হলে তাকে পৃথক কক্ষে নিয়ে তল্লাশি করা হবে।’
মেলা প্রাঙ্গণসহ আশেপাশের এলাকার প্রতিটি ইঞ্চি জায়গা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি জানান, মেলা প্রাঙ্গণে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক পোশাকধারী সদস্যও মোতায়েন থাকবে। মেলার আশেপাশে মোটরসাইকেল ও গাড়ি টহল থাকবে। এছাড়া সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন ভ্যান ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। যে কোনও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি প্রধান বলেন, মেলায় মেডিক্যাল টিম ও ফায়ার সার্ভিস মোতায়েন থাকবে। ডিএমপি কন্ট্রোল রুমের ভেতরে ব্রেস্ট ফিডিং কক্ষ থাকবে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত মেলা প্রাঙ্গণে আসবেন ও নিরাপত্তা বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন।
গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ‘একুশে বইমেলায় ধর্মীয় উসকানিমূলক লেখা বা বই প্রকাশের নামে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা ঠেকাতে সাইবার মনিটরিং ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এ বিষয়ে ডিএমপির সাইবার ইউনিট কাজ করবে।’