X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

আরও ৪০ হাজার মানুষ পেলেন স্থায়ী ঠিকানা 

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২২ মার্চ ২০২৩, ১৫:৩৭আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৩, ১৫:৩৯

ঈদের আগে আরও প্রায় ৪০ হাজার মানুষ খুঁজে পেলেন স্থায়ী ঠিকানা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের আওতায় জমিসহ ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর পেলো এসব পরিবার।

বুধবার (২২ মার্চ) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব পরিবারের কাছে ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পক্ষে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে উপকারভোগীদের কাছে জমির কবুলিয়াত দলিল, নামজারি খতিয়ান এবং গৃহের সনদ হস্তান্তরের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিন গাজীপুরে শ্রীপুর উপজেলায় নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নওয়াগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং বরিশালের বানারীপাড়ার উত্তরপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। এর মাধ্যমে দেশের ৯টি জেলা ও ২১১টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হলো। দেশের মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সব উপজেলা গৃহহীনমুক্ত হয়েছে ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে।

১৯৯৭ সালে ভূমিহীন-গৃহহীনকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ‘আশ্রয়ণ’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে, যা প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিব বর্ষে প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬০ হাজার ১৯১টি ঘর ও ২০ জুন ৫৩ হাজার ৩০০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট নির্মিত ঘরের সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ২৯।

এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৫৯৭টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আশ্রয়ণ ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা সংস্থাসহ ঘর নির্মাণ করে ১৯৯৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পুনর্বাসন করা হয়েছে ৭ লাখ ৭১ লাখ ৩০১টি পরিবারকে। প্রতি পরিবারের পাঁচ জন সদস্য হিসাবে দেশে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫।

তৃতীয় পর্যায়ে নির্মাণ করা একক ঘরের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৬৭৪। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৯০৪টি হস্তান্তর হয়েছে গত বছরের ২৬ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় ধাপে ২১ জুলাই জমির মালিকানাসহ ২৬ হাজার ২২৯টি হস্তান্তর করা হয়। বুধবার চতুর্থ পর্যায়ে হস্তান্তর হচ্ছে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর।

প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়সহ মোট হস্তান্তরিত একক ঘরের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি। চতুর্থ পর্যায়ে অবশিষ্ট নির্মাণাধীন ঘরের সংখ্যা ২২ হাজার ৬টি। চতুর্থ পর্যায়ে চরাঞ্চলে বরাদ্দ করা বিশেষ ডিজাইনের ঘরের সংখ্যা ১ হাজার ৩৭৩টি এবং পার্বত্যাঞ্চলের বিশেষ ডিজাইনের মাচাং ঘর ৬৩৪টি।

 

 

/এসও/আরকে/
সম্পর্কিত
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের বাসিন্দারা পানিবন্দি
এখন আর পাহাড়ের পাদদেশে নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে না জরিনাকে
‘বেঁচে থাকার শক্তি জুগিয়েছে এই ঘর, শেখ হাসিনার কাছে আমরা চিরঋণী’
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা