X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

জাকাত নিয়ে ‘সামাজিক যুদ্ধ’

সাদ্দিফ অভি
১৮ এপ্রিল ২০২৩, ২৩:০০আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ১৩:০৩

২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ থেকে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয় এর প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার দাশের হাত ধরে। সংগঠনটি চলছে মূলত স্বেচ্ছাসেবকদের হাতেই এবং সাধারণ মানুষের দান-অনুদানে। মানুষের জন্য কিছু করার উদ্দেশ্য নিয়েই এখানে কাজ করেন সবাই। আগেও নানা সময়ে বিদ্যানন্দ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।

তবে সম্প্রতি আবারও বিদ্যানন্দ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এবারের আলোচনা মূলত শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির জাকাত সংগ্রহ আর পাহাড়ে জমি কেনা নিয়ে। এর সঙ্গে আরও যুক্ত হয় তাদের নানা সময়ে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্কিত কন্টেন্ট পোস্ট করা নিয়ে, যেখানে একই ব্যক্তির নামে একাধিকবার করা হয়েছে ‘কাল্পনিক’ পোস্ট।

‘এক টাকায় আহার’ বিনামূল্যে দেওয়ার মাধ্যমেই বিদ্যানন্দের কর্মকাণ্ড শুরু হয়। এরপর সুবিধাবঞ্চিতদের নিজেদের অন্তত খাবার কিনতে পারার সামর্থ্যবান বোঝাতেই এই ১ টাকার তকমা লাগানো হয়। প্রথম থেকে প্রতিষ্ঠানটি কিশোরের নিজ অর্থায়নে চললেও বর্তমানে সমাজের নানা পেশার মানুষের দানের অর্থায়নে চলছে এর কার্যক্রম।

বিদ্যানন্দকে খুব বেশি মানুষ না চিনলেও তাদের নিয়ে প্রথম আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় ২০১৭ সালে। তখন ‘বিদ্যানন্দ একটি হিন্দু সংগঠন’ এবং ‘হিন্দু সংগঠন বিদ্যানন্দ গো-চনা মিশিয়ে ইফতার বিতরণ করছে’, এ রকম প্রচারণা চালানো হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সে সময় এটিকে অপপ্রচার বলে প্রতিবাদ জানান বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবকরা।

প্রতিবাদে তারা বলেছিলেন, ‘কয়েকটি ভুঁইফোড় অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ফেসবুকের ফেক আইডি থেকে বিদ্যানন্দের ইফতার ও সেহরি বিতরণ কার্যক্রমকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবর ও খবরের লিংক প্রকাশ করে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা অনেকে না বুঝে শেয়ার করছে। বিদ্যানন্দ সম্পূর্ণরূপে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, যেখানে সব ধর্মের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক স্বতঃস্ফূর্তভাবে সব ধর্মের শিশুদের মানবিক ও শিক্ষা সহায়ক কল্যাণ কার্যক্রমে শ্রম দান করেন। বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এই ধরনের মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

এরপর শুরু হয় ‘বিদ্যানন্দ’ নাম নিয়ে বিতর্ক। অনেকে দাবি করেন নামটি ‘হিন্দুয়ানি’, তবে বিদ্যানন্দ থেকে জানানো হয়, ‘বিদ্যানন্দ’ নামটি দিয়েছেন এক মুসলমান ব্র্যান্ড এক্সপার্ট। ‘আনন্দের মাধ্যমে বিদ্যা অর্জন’ স্লোগানের সঙ্গে মিল রেখে তিনি নামটি দিয়েছিলেন। অনেকেই এটাকে ব্যক্তির নাম ভেবে ভুল করেন।

বিদ্যানন্দ নিয়ে আবারও একই অভিযোগ তোলা হয় ২০২০ সালে। তখন সাম্প্রদায়িক বিতর্কের অবসান ঘটাতে পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন কিশোর। তবে সে সময় তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি পরিচালনা পর্ষদ এবং তিনি তখন থেকে একই পদে বহাল থাকেন।

জাকাতের অর্থ বিদ্যানন্দে দান করা নিয়ে বিতর্ক
অনেকে বিভিন্ন সেবাদাতা বা সামাজিক সংগঠনে জাকাত দিয়ে থাকেন। তারই অংশ হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন জাকাত নিচ্ছে। সম্প্রতি এই ফাউন্ডেশনে জাকাত দেওয়া নিয়ে নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিদ্যানন্দে জাকাত দেওয়া যাবে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আবার অনেকে এটা শরিয়তসম্মত নয় বলেও জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে বিদ্যানন্দে জাকাত না দিয়ে এক ইসলামিক বক্তা পরিচালিত ফাউন্ডেশনে জাকাত দেওয়ার ক্যাম্পেইন চালানো হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এর পক্ষে নানা যুক্তি ও স্বচ্ছতার প্রমাণও দেওয়া হয়। প্রচারণা চালানো হয় পক্ষে-বিপক্ষে। এবার বিদ্যানন্দের সমালোচনা শুরু হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ে জমি কেনা নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলা হয়, পাহাড়ে ১৩০ বিঘা জমির মালিক বিদ্যানন্দ। দাতব্য সংস্থা পাহাড়ে কেন জমি নিলো? অনেকে বিদ্যানন্দের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, অডিট রিপোর্ট দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান ও এতিমখানায় জাকাত দেওয়া যাবে কি

এমন সময় ওই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষে স্বচ্ছতা নিয়ে সাফাই গাওয়া হয় ফেসবুকে। তবে প্রতিষ্ঠানটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানায়, তাদের নিয়মিত অডিট রিপোর্ট আছে এবং তা দেখতে চাইলে যে কেউ প্রতিষ্ঠানটির অফিসে গিয়ে দেখতে পারবেন। তবে প্রতিষ্ঠানটির এমন অবস্থানের বিপক্ষেও সমালোচনা করা হয়। অনেকেই বলছেন, বিদ্যানন্দের ওয়েবসাইটে সব অডিট রিপোর্ট দেওয়া আছে, কিন্তু তাদের (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) অডিট রিপোর্ট দেখতে অফিসে কেন যেতে হবে! আর এভাবেই দুটি প্রতিষ্ঠানের জাকাতের অর্থ সংগ্রহ করতে পারা না-পারা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলে স্নায়ুযুদ্ধ।

এ ছাড়া সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ দেখা গেছে। এর মধ্যে আছে—দাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেওয়া, নিয়মিত আপডেট না জানানো, এক ব্যক্তির কথা একাধিকবার লিখে সহানুভূতি আদায়ের মাধ্যমে অর্থ চাওয়া, একই গরুর ছবি বারবার দেখিয়ে অর্থের আবেদন, ভুল ছবি দিয়ে বিদ্যানন্দের পণ্য বলে দাবি করা, বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য সংগ্রহ করা অনুদানের ভুল হিসাব দেওয়া ইত্যাদি।

সমালোচনার জবাব দিলেন বিদ্যানন্দের প্রতিষ্ঠাতা
এ রকম নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে সোমবার রাতে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম নিয়ে কিছু সমালোচনার জবাব দেন কিশোর কুমার। সেখানেই তিনি এই ফাউন্ডেশনে জাকাত প্রদান প্রসঙ্গ কথা বলেন তিনি।

কিশোর কুমার বলেন, গত বছর বিদ্যানন্দ চেয়েছিল আর জাকাত নেবে না। ওই সময় এক হুজুর বলেছিলেন, কেউ জাকাত দিতে চাইলে কেন নেবেন না? সে কারণে সিদ্ধান্ত পাল্টানো হয়।

তিনি আরও বলেন, আবার জাকাত না নিলেও প্রশ্ন তুলবেন অনেকে বা অন্য ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার শুরু হবে। আর দাতাদের থেকে পাওয়া বিদ্যানন্দের মূল তহবিলের মাত্র ৫ শতাংশ জাকাত থেকে আসে বলেও জানান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।

বঙ্গবাজারের পোড়া কাপড় থেকে বানানো অলংকারের ছবি হিসেবে ইন্টারনেট থেকে নেওয়া ছবি ফেসবুকে শেয়ারের পর সংগঠনটিকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। ওই ঘটনার পর তাদের অন্যান্য কার্যক্রম, সম্পদ ও আয়-ব্যয় নিয়েও সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে উঠেছে নানা প্রশ্ন। অন্যের ছবি শেয়ার করার ঘটনাটিকে ‘ভুল’ হিসেবে স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেও অন্যান্য সমালোচনার জবাবে বিদ্যানন্দের অবস্থান তুলে ধরেছেন কিশোর কুমার।

তিনি বলেন, বিদ্যানন্দের যে সমস্যাগুলো হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে তিনি দায় নেবেন। প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব ছেড়ে দিতেও তিনি প্রস্তুত। আর কেউ চাইলে আইনের আশ্রয়ও নিতে পারেন।

হ্লা তুন সেইংগের বক্তব্য
‘মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়ে’ বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কিশোর কুমার প্রথমে কিছু জমি ইজারা এবং পরে ‘নামমাত্র মূল্যে জমি কিনে’ পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেননি বলে এর আগে অভিযোগ করেছিলেন কক্সবাজারের রামুর হ্লা তুন সেইংগ। বিদ্যানন্দকে ঘিরে সাম্প্রতিক আলোচনা ও বিতর্কের মধ্যে এই অভিযোগ সামনে আনেন তিনি।

অভিযোগ করে হ্লা তুন সেইংগ বলেন, আমার জানামতে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রথম ভূমিদাতা আমার শ্রদ্ধেয় দাদু মংশৈতং রোওয়াজা। প্রথম অংশ দান করার পর বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান (কিশোর কুমার) দাদুকে এই মর্মে মিথ্যা স্বপ্ন দেখান যে আরও কিছু জায়গা পেলে আমরা আপনার এলাকায় একটা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবো এবং আপনার নামে একটা একাডেমি ভবন নির্মাণ করবো। এলাকায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় হবে, ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের মুখ থেকে সরাসরি এমন কথা শুনে দাদু নামমাত্র মূল্যে আরও কিছু জায়গা দিতে রাজি হন।

জায়গা পাওয়ার পরপরই তাদের ‘রূপ পরিবর্তন’ হতে থাকে অভিযোগ করেন হ্লা তুন সেইংগ বলেন, দাদুর শেষনিশ্বাস ত্যাগ করার কয়েক দিন আগেও আমাকে বলেছিলেন, আজকাল তোমরা যে শিক্ষা গ্রহণ করতেছ, সেটা মানুষকে ঠকানো শিক্ষা। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানও যে এভাবে আমাকে ঠকাবে, সেটা আমি ভাবিনি।

তিনি বলেন, মধ্যস্থতাকারী এই আমি আজীবন দাদুর কাছে পরিবারের কাছে এবং পুরো সমাজের কাছে অপরাধী হয়ে থাকতে হবে।

এই অভিযোগের বিষয়ে সোমবার কিশোর কুমার দাস জমির দলিল ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, কক্সবাজারের রামুর জমিটি নগদ অর্থে তখনকার বাজারমূল্যে কেনা। যদি জমি বিক্রেতা আজও সে জমি ফেরত চান, তবে বিক্রিত মূল্য পরিশোধ করে (ডিপ্রিশিয়েশন অ্যাডজাস্ট করে) জমিটি ফেরত নিতে পারবেন।

তিনি বলেন, আমরা এটা নিয়ে বিক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তিনি ফেরত নিতে রাজি হননি। এই নিয়ে তার পরিবারের একজন মিথ্যা প্রচার করে যাচ্ছে, যেটাকে পরিবারের কর্তা এড়িয়ে যেতে বলেছিলেন। দ্বিতীয় ছবিতে জমির দামের রেকর্ড পাবেন।

ফেসবুকে শেয়ার করা ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি সই করা সেই দলিলের ছবিতে ১ একর জমির দাম ১৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকা দেখা যায়। পাশাশাপাশি বান্দরবানের রুমা উপজেলায় ইজারা নেওয়া আরেকটি জমির দলিলের কিছু অংশও প্রকাশ করেন তিনি।

কিশোর কুমার সেই পোস্টে লেখেন, পাহাড়ের জমির মালিকানা প্রজেক্ট শেষে মূল মালিকের কাছে ফিরে যাবে। প্রথম ছবিতে সে চুক্তিপত্রে শর্তে দেখতে পাবেন।

এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আর কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারাও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

/এনএআর/
সম্পর্কিত
পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস আজদায়িত্ব পালনকালে কতটা সুরক্ষা পাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা
ফিতরা-জাকাতের নামেও প্রতারণা
আড়াই শতাধিক মানুষের তৃষ্ণা মেটালেন জবি শিক্ষার্থীরা
সর্বশেষ খবর
তপ্ত রোদেও থামে না তাদের কাজ
আজ মহান মে দিবসতপ্ত রোদেও থামে না তাদের কাজ
বিমান বাহিনীর ২৩ হাজার নিরাপদ উড্ডয়ন ঘণ্টা অর্জন
বিমান বাহিনীর ২৩ হাজার নিরাপদ উড্ডয়ন ঘণ্টা অর্জন
ফুফাতো ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করলো মামাতো ভাইয়েরা
ফুফাতো ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করলো মামাতো ভাইয়েরা
বিদেশি প্রকৌশলী নির্ভরতা কমাতে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ
বিদেশি প্রকৌশলী নির্ভরতা কমাতে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ
সর্বাধিক পঠিত
এসি কেনার আগে মনে রাখতে হবে এই ৭ বিষয়
এসি কেনার আগে মনে রাখতে হবে এই ৭ বিষয়
ট্রাকের চাকায় পিষে দেওয়া হলো ৬ হাজার কেজি আম
ট্রাকের চাকায় পিষে দেওয়া হলো ৬ হাজার কেজি আম
বেতন বৈষম্যে উচ্চশিক্ষার মান হারাচ্ছে বেসরকারি কলেজগুলো
বেতন বৈষম্যে উচ্চশিক্ষার মান হারাচ্ছে বেসরকারি কলেজগুলো
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সিএনজির রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করতে বিআরটিএ অফিস ঘেরাও
সিএনজির রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করতে বিআরটিএ অফিস ঘেরাও