বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ২০২৩ সালে ২২ হাজার ৯২৯ নিরাপদ উড্ডয়ন ঘণ্টা অর্জন করেছে। অপারেশনাল উড্ডয়ন কার্যক্রমে বছরটি পরিপূর্ণ ছিল। এ উপলক্ষে বিমান বাহিনীর কমান্ড সেফটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) তেজগাঁওয়ে বিমানবাহিনীর ফ্যালকন হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফ্লাইট সেফটি ট্রফি বিতরণ করেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান বলেন, জাতিসংঘে নিয়োজিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সব কর্মকর্তা ও সদস্য নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের কার্যক্রম পালন করেছে। তিনি মাতৃভূমি রক্ষায় বিমান বাহিনী সদস্যদের সদা প্রস্তুত থাকার কথাও উল্লেখ করেন। উড্ডয়ন নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অভিজ্ঞতা, পেশাদারত্বের এবং সহযোগিতার সংমিশ্রণের সুযোগ তৈরি করার জন্য কমান্ড সেফটি সেমিনারের মহৎ উদ্দেশ্যকে সাধুবাদ জানান। ভবিষ্যৎ উড্ডয়ন নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে তিনি উপস্থিত এয়ার ক্রু, টেকনিশিয়ান, কন্ট্রোলারসহ সংশ্লিষ্ট সবার নিবিড় তত্ত্বাবধান বাড়ানোর পাশাপাশি অতীত অভিজ্ঞতালব্ধ ব্যবহারিক জ্ঞানের সফল প্রয়োগ ও উড্ডয়ন নিরাপত্তা প্রক্রিয়া কঠোরভাবে অনুসরণের আহ্বান জানান। পরিচালক, উড্ডয়ন নিরাপত্তা পরিদফতর, প্রধান সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০২৩ সালের বিমান বাহিনীর উড্ডয়ন সংক্রান্ত সব অর্জন ও ঘটনার পর্যালোচনা উপস্থিত সবার মাঝে তুলে ধরেন।
বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশারকে ‘আন্তঃঘাঁটি ফ্লাইট সেফটি ট্রফি’ এবং ১১ নম্বর বহরকে ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ নিরাপদ উড্ডয়ন ঘণ্টা অর্জনের জন্য ‘আন্তঃবহর খাদেমুল বাশার ফ্লাইট সেফটি ট্রফি’ প্রদান করা হয়। এছাড়া সেরা বিমান প্রকৌশল বহর হিসেবে বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশারের বিমান প্রকৌশল বহরকে ‘বেস্ট এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ারিং স্কোয়াড্রন ট্রফি’ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিমান সদর ও বিমান বাহিনীর ঘাঁটিগুলোর মনোনীত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিমান সেনারা উপস্থিত ছিলেন।