প্রয়াত এক মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানাতে গিয়ে নারী ইউএনও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত হওয়ার ঘটনাকে অনাকাঙ্খিত এবং অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
রবিবার (৩০ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা প্রতিবাদের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনে (গার্ড অব অনার) নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও ) যাওয়ায় বাধা দিয়েছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সখীপুর বাজারের নিজ বাড়িতে মারা যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ খান। শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর দুইটায় সখীপুর পিএম পাইলট মডেল গভমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে তার জানাজার জন্য লাশ নিয়ে আসা হলে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও ) বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করতে যান। তখন কাদের সিদ্দিকী তাকে লাশের সামনে থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন। জানাজার পূর্বে কাদের সিদ্দিকী তার বক্তব্যে বলেন, নারীদের জানাজায় শামিল হওয়া ও গার্ড অব অনার দেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি এখানে এসে মুক্তিযোদ্ধার লাশের সঙ্গে বেয়াদবি করেছেন। ইসলামি শরীয়ত অনুযায়ী পুরুষের সঙ্গে কোনও নারী গার্ড অব অনার দেওয়ার সুযোগ নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এক পর্যায়ে ইউএনও লাশের পাশে থেকে সরে মাঠের অন্য পাশে গিয়ে দাঁড়ান। তারপর মুক্তিযোদ্ধার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। কাদের সিদ্দিকী চলে যাওয়ার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়াত মুক্তযোদ্ধার প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করেন ওই ইউএনও।
আসকের মতে, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ন্যায় একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের এমন আচরণ ও বক্তব্য অনাকাঙ্খিত এবং সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। তার বক্তব্য অত্যন্ত বৈষম্যমূলক এবং সংবিধান, বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় নীতি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে চরমভাবে সাংঘর্ষিক। আসক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর এমন আচরণের নিন্দা জানাচ্ছে।