বস্ত্র প্রকৌশলী আসিফ করিম হিমু হত্যার আসামিদের গ্রেফতারে প্রাথমিক সময়সীমা বেঁধে দিয়ে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছে দ্য ইনস্টিটিউশন অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস্ট (আইটিইটি) ও ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি)। আগামী ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানায় তারা।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে প্রকৌশলী আসিফ করিম হিমু হত্যার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বস্ত্র ও পোশাক খাত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আর টেক্সটাইল প্রকৌশলীরা এই খাতের অন্যতম চালক। এই খাতের একজন প্রকৌশলীকে হত্যা দেশকে মেধাশূন্য করার শামিল। ফল স্বরূপ দেশের অর্থনীতিতে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়। পাশাপাশি বিদেশি ক্রেতাদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি সংকটে পড়তে পারে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিমুর সঙ্গে তার নিজ কর্মস্থল রেঁনেসা অ্যাপারেল লিমিটেড সংলগ্ন হোতাপাড়া এলাকায় স্থানীয় ইন্টারনেট সরবরাহকারীর বাগবিতণ্ডা হয়। তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয় ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে। তারই জেরে ওইদিন বিকালে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা করে হিমুর ওপর। পরে গত ৩০ জুন রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হিমু। এ ঘটনায় গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মামলার একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা গেলেও এখন পর্যন্ত বাকি তিন আসামি পলাতক।
সংবাদ সম্মেলনে ইঞ্জিনিয়ার সফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সংসদীয় এলাকার মধ্যেই আমাদের টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। তিনি আমাদের অভিভাবক, তিনি চাইলে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা দ্রুত আইনের আওতায় আসবে বলে আমরা আশাবাদী। আমরা হিমু হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের যদি সুষ্ঠু বিচার না হয়, তাহলে দেশের পোশাকশিল্প হুমকির মুখে পড়তে পারে। হিমু হত্যার বিচারের দাবিতে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রশাসনের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি পেশ করবো। যদি তাতেও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না হয় তবে আগামী ২৬ জুলাই আমরা হিমুর হত্যাকাণ্ড ঘটানো স্থানে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন– টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলীমুজ্জামান, বিবিটিইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান, টিইডি’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আসাদ হোসেন, আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন তালুকদার এবং হিমুর মামা ফিরোজ খানসহ প্রকৌশলী সংগঠনগুলোর নেতারা। সংবাদ সম্মেলনের আগে হিমুর হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে সংগঠনগুলো।