গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি ও সমমনা সংগঠনগুলোর নেতারা বলেছেন, রফতানির শীর্ষ খাত পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতে মজুরি ২৫ হাজার টাকা মজুরি জরুরি। মজুরি আন্দোলন কেবল শ্রমিকের আন্দোলন না, এটি ছাত্রদেরও আন্দোলন। কারণ বাংলাদেশের সকল শিশুর শিক্ষা নিশ্চিতের প্রশ্ন জড়িয়ে আছে মজুরি বৃদ্ধি এবং সরকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলাসহ অন্যান্য উদ্যোগের ওপর।
সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর পরিবাগের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির উদ্যোগে ধারাবাহিক মতবিনিময়ের পর্ব ১ ‘শ্রমিকের সন্তানের শিক্ষা ও মজুরি প্রশ্ন’ শীর্ষক আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকেরা।
তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে আলোচনা ও প্রশ্নোত্তরে বক্তব্য রাখেন ফিরোজ আহমেদ, সাদেকুর রহমান শামীম, মশিউর রহমান রিচার্ড, রাগীব নাঈম, শুভাশীষ চাকমা, তৌফিক উজ- জামান পারিচা ও পোশাক শ্রমিকের সন্তান ফারিয়া বৃষ্টি।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ৪০ লাখ শ্রমিকের বড় অংশ তরুণ। তাদের অনেকে অল্প বয়সে স্কুল-কলেজ শেষ করার সুযোগ না পেয়ে শ্রমিকে পরিণত হয়। গত ৪ দশকে প্রায় ৩য় প্রজন্মের শ্রমিকেরা এখন কারখানায় কাজ করছেন। বর্তমান মজুরিতে শ্রমিকদের পক্ষে নিজের সন্তানকে পাশে রাখার সুযোগ নাই। তাই তারা সন্তানদের গ্রামে কম খরচে জীবন ধারণের জন্য প্রেরণ করছে। একই সঙ্গে শ্রমিকরা তাদের সন্তানদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্যের ব্যবস্থা করতে পারে না, নিশ্চিত করতে পারে না উন্নত ও প্রকৃত শিক্ষা।
আগামী ২৬ জুলাই মজুরি বৃদ্ধিতে প্রেস ক্লাবে ‘নারী, মজুরি প্রশ্ন ও শ্রমিক আন্দোলন’ শীর্ষক অলোচনা সভার আয়োজন করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি।