যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ‘পঁচাত্তরের খুনিরা, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, এদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য; তারা কিন্তু আজও স্বোচ্চার। আজও তারা আমাদের আশপাশেই আছে। তারা আজও সচেষ্ট জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন সেই কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য। তারা চায় না আপনাদের উন্নত-সমৃদ্ধ জীবন, আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাঙালি হিসেবে আত্ম-মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক।’
রবিবার (১৩ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যুবলীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্ট মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে নিহত সকল শহীদ-স্মরণে কোরআন খতম, দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও তবারক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় যুবলীগ চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘খুনিরা এখনও সচেষ্ট খুন, হত্যা, রাহাজানি, অগ্নিসন্ত্রাস, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের মাধ্যমে আপনাদের ভবিষ্যতকে নস্যাত করার জন্য। আপনারা গত ৪৮ বছর আওয়ামী লীগের ওপর এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রেখেছেন, সেই আস্থা আপনারা দয়া করে রাখবেন। তাহলে আমরা কখনই কুচক্রী মহলদের ভয় পাই না। বরঞ্চ সত্যের জয় হবেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করি, সুতরাং আমাদের কোনও পিছুটান নেই। আমরা সবই হারিয়েছি, বঙ্গবন্ধুকন্যা তার বাবা-মাসহ ছোট ভাইদেরও হারিয়েছেন। তারপরও তিনি শোককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে চলেছেন, সেই হত্যাকাণ্ড তাকে তার নীতি আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র টলাতে পারেনি। আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখবেন। আগামী নির্বাচনে আপনাদের ভোটের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে এবং সেই নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমেই আমরা ১৫ আগস্টের খুনিদের জবাব দেবো।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, ডা. খালেদ শওকত আলী, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজ উদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ প্রমুখ।