ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে একটা আন্দোলনে নামতে হবে বলে মনে করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুর ইসলাম। আর এ জন্য তিনি সিটি করপোরেশন ও জনগণকে সমন্বয় করে কাজ করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (২৩ আগস্ট) দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ-ইউল্যাব আয়োজনে ‘ডেঙ্গু চক্র’ শীর্ষক বৈঠকিতে তিনি একথা বলেন। প্রভাষ আমিনের সঞ্চালনায় বৈঠকিটি এটিএন বাংলা টিভিতে সম্প্রচারিত হয়।
বৈঠকিতে অংশ নিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে আমাদের একটা আন্দোলনে নামতে হবে। সিটি করপোরেশন... আমরা কাজ করে যাবো। ইট ইজ নট এ ব্লেম গেইম। করোনার সময় কিন্তু আমরা একদিনে ১ কোটি মানুষ টিকা নিয়েছে। এই ধরনের একটা সামাজিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি অনুরোধ করবো- আসুন সবাই মিলে এক সঙ্গে কাজ করি।’
বৈঠকিতে কীটতত্ত্ববিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের আওতাধীন রাস্তাঘাট, উন্মুক্ত স্থান সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাগুলোতে সংস্থাটি কাজ করবে। আর ব্যক্তিগত যে বাড়িগুলো আছে, সেখানে নিজেদেরই নিশ্চিত করতে হবে, যেন বাড়ির ভেতর ও আঙিনায় কোনও মশা না জন্মায়। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের ও জনগকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কাকলী হালদার বলেন, ‘কোভিডের সময় নিয়ন্ত্রণ করাটা কঠিন ছিল। আর ডেঙ্গুটা কিন্তু মশাবাহীত রোগ, ছোঁয়াচে না। এখানে যদি আমরা চেষ্টা করি মশা নিয়ন্ত্রণ করার। একদম ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে সরকারিভাবে; প্রত্যেকটা সেক্টরে সবাই সচেতন হয়, তাহলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে আমার মনে হয়। তবে যেটা দরকার কঠিন মনিটরিং এবং যারা মানছেন না তাদের ব্যাপারে আরও কঠোর হতে পারি। তাদের জরিমানা করতে পারি। তাহলে মশা নিয়ন্ত্রণ অনেকখানি সম্ভব।’