ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশে দ্বিতীয় দিন ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত (১৬ ঘণ্টা) গাড়ি চলাচল করেছে ২১ হাজার ৭০৫ আর টোল আদায় হয়েছে ১৭ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪০ টাকা। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনও এই উড়াল সড়ক দিয়ে চলাচল করা যানবাহনের মধ্যে বেশিরভাগই প্রাইভেট কার ছিল।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) উদ্বোধনের পর রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ওইদিন ভোর ৬টা থেকে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত) যানবাহন চলাচল করেছে মোট ২২ হাজার ৮০৫টি আর টোল আদায় হয়েছে ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৮০ টাকা।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার জানিয়েছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় দিন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলকারী মোট গাড়ির ৯০ শতাংশের বেশি প্রাইভেট কার।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দরের কাওলা-বনানী-মহাখালী-ফার্মগেটে চলাচল করা গাড়ির সংখ্যা ১১ হাজার ৫৫২টি, কুড়িল-বনানী-ফার্মগেট ২ হাজার ৭৮২টি, বনানী-কুড়িল-কাওলা ২ হাজার ২৮৫টি এবং ফার্মগেট-মহাকালী-বনানী-কুড়িল-কাওলা ৫ হাজার ৮৬টি।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দরের কাওলা থেকে তেজগাঁও'র ফার্মগেট পর্যন্ত প্রথম অংশ শনিবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রথম টোল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পার হন।
রবিবার উড়াল সড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর ব্যক্তিগত গাড়ির প্রাধান্য থাকলেও গণপরিবহন খুব একটা চলতে দেখা যায়নি সারাদিনে। মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশাসহ দুই ও তিন চাকার কোনও যান চলবে না, পথচারী চলাচলও নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।