বিশেষ বিবেচনায় সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ‘নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদ’।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের এই মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. দবিরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী ২০২১ সালে বলেছিলেন, ‘‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতি বছর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেওয়া হবে।’’ কিন্তু ২০২২ সালে কোনও আবেদন নেওয়া হয়নি। ২০২৩ সালও চলে যাচ্ছে, যদিও আবেদন নেওয়ার কথা ছিল কিন্তু এখন পর্যন্ত তা নেওয়া হচ্ছে না। ২০২৩ সালে যদি আবেদন না নেওয়া হয়, তাহলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। দীর্ঘ ২০-২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ চাকরি করতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৪ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুরে নন-এমপিও শিক্ষকদের অমানবিক কষ্টের কথা চিন্তা করে রাজনৈতিক বিবেচনায় দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছেন এবং সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পারলাম আরও ৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ বিবেচনায় এমপিভুক্ত হতে যাচ্ছে।’
দবিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মনে করি, দেশের সব নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক শিক্ষামন্ত্রী। তাই নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সীমাহীন কষ্টের কথা চিন্তা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক বিবেচনায় এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর সব শর্ত শিথিল করে বিশেষ বিবেচনায় ৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চলমান সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একযোগে এমপিওভুক্ত করে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন– বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন। আরও বক্তব্য রাখেন– নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মো. মনিমুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মো. জহুরুল ইসলাম রাজু, এরশাদুল হক, অধ্যক্ষ বাকিফুল্লাহ, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান বাবুলসহ অনেকে।