X
মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
৩০ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর পথে পথে বিষণ্ন মানুষের মুখ

জুবায়ের আহমেদ
১০ অক্টোবর ২০২৩, ২২:০০আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:১০

রাজধানী ঢাকার অন্যতম সমস্যা সড়ক ও গণপরিবহনের অব্যবস্থাপনা। তবু প্রয়োজনের তাগিদে প্রতিদিনই এই সমস্যাকে সঙ্গে করে ছুটে চলছে নগরবাসী। এর বিনিময়ে তাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মূল্যবান সময়। ভোগাচ্ছে মানসিক সমস্যা, পরিবারের সঙ্গে বাড়ছে দূরত্ব। সর্বোপরি বঞ্চিত হচ্ছে একটি সুন্দর স্বাস্থ্যকর জীবন থেকে, মানসিক বিষণ্নতা আঁকড়ে ধরছে তাদের। 

গণপরিবহনের অব্যবস্থাপনা যানজটে অতিষ্ঠ জীবন

রাজধানীবাসীর মানসিক বিষণ্নতার অন্যতম কারণ ঢাকার গণপরিবহনের অব্যবস্থাপনা ও যানজট। ব্যস্ত সময়ে দীর্ঘ যানজটে বসে থাকা, বাস চালকদের স্বেচ্ছাচারিতা, ভাঙাচোরা ও বাসের ভেতরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ- নগরবাসীর দিনের শুরুটা যেমন বিষিয়ে তোলে, তেমনি দিন শেষে বাড়ি ফেরার পথেও একই ভোগান্তি পোহাতে হয়। সারা দিনের কাজকর্মেও এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। একইসঙ্গে ব্যক্তিজীবনে শারীরিক অসুস্থতাসহ নানা কারণে পরিবার-পরিজনের সঙ্গেও দূরত্ব বাড়ছে বলে জানান রাজধানীবাসী। তারা বলেন, দৈনিক প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সড়কেই ব্যয় হয়ে যায়। ফলে দিনের বাকি সময়টা যথেষ্ট নয় পরিবার-পরিজনের জন্য।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এইচ হালিম বলেন, বাসে করে অফিসে এসেই কাজে মনোযোগী হওয়া যায় না। একে তো আসতে দেরি, এসেই কাজ শুরু করার তাড়া। তার ওপর কাজের চাপ থাকে। সব মিলিয়ে গোছানো কাজ আর হয়ে ওঠে না। রাতে আবার বাসে করে যেতে হবে, এটা মনে হলেই যেন শরীর ভেঙে আসে। দেশের গণপরিবহনগুলোতে কোনও শৃঙ্খলা নেই। বাসগুলো যাচ্ছেতাইভাবে লোক ওঠানামা করায়, ইচ্ছা হলেই এক স্থানে থামিয়ে দীর্ঘ সময় বসে থাকে। অতিরিক্ত যাত্রীবহন, বাসগুলোর কন্ডিশনও ভালো না। গরমে অতিষ্ঠ লাগে। ঢাকার একটা সিএনজিও মিটারে যায় না। তার ওপর সকালে আসতেও জ্যাম, যেতেও তীব্র জ্যাম। একটা মানুষ যখন এতসব অব্যবস্থাপনার মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় পার করে সে কী করে কাজে মনোযোগ দেবে? আর কীভাবেই বা বাসায় গিয়ে ফ্যামিলিকে সুন্দর সময় দেবে।

গণপরিবহনের অব্যবস্থাপনার কারণে মানসিক অসুস্থতার পাশাপাশি শারীরিক অসুস্থতায়ও আক্রান্ত হতে হচ্ছে জানিয়ে আরেক চাকরিজীবী মোহাম্মদ নাসির বলেন, যেদিন আমার কোনও গণপরিবহন ব্যবহার করতে হয় না, সেদিন শারীরিক কোনও অসুস্থতা বোধ করি না। কিন্তু যেদিন খুব গরমে, দীর্ঘ জ্যামে গণপরিবহনে যাতায়াত করি সেদিন আমার মাথাব্যথা শুরু হয়। প্রেসার বেড়ে যায়, অনেক ক্লান্ত লাগে। তখন মাথাব্যথা, প্রেসারের ওষুধ খেতে হয়। আর এটা যদি প্রতিনিয়তই ঘটে তাহলে তো অসুস্থতা বাড়বেই।

রাজধানীর পথে পথে ভোগান্তি, মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছে মানুষ, ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

সড়কে সময়ের অপচয়ে পরিবার বন্ধুদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে

নগর জীবনে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে সড়কে চলাচলে অতিরিক্ত সময় ব্যয়কে দেখছেন রাজধানীবাসী। এই দূরত্বের কারণেও অবচেতন মনে মানসিকভাবে বিষণ্ন থাকতে হয় বলে জানান তারা। তারা বলেন, পরিবারের সঙ্গে যত ভালো সময় কাটে তত মানসিক প্রশান্তি আসে। সুন্দর মুহূর্তগুলো মনে থেকে যায়। কিন্তু সময় না পাওয়ায় পরিবারের সঙ্গে সুন্দর মুহূর্ত তৈরি হচ্ছে না। ফলে মানসিক দূরত্ব বাড়ছেই।

মিরপুরের বাসিন্দা ফিরোজ আহমেদ বলেন, অফিস বিকাল ৫টার দিকে শেষ হলেও বের হতে হতে ৬টা। এরপর বাসের জন্য অপেক্ষা, রাস্তায় জ্যাম পেরিয়ে বাসায় আসতে আসতে রাত ৮টা। তারপর আবার ফ্রেশ হয়ে খাওয়া-দাওয়া করে ফ্রি হতে হতে রাত ৯টা। এদিকে আমার দুই মেয়ের মধ্যে ছোটটা ১০টার পরপরই ঘুমিয়ে যায়। সে ওঠার আগেই আবার অফিসের জন্য বের হই। বড় মেয়েকেও ভালোভাবে সময় দিতে পারি না। যদি রাস্তায় অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা না লাগতো, তাহলে সে সময় বাজার করতে পারতাম, সন্তানদের কাছে ডেকে পড়াশোনার খোঁজ-খবর নিতে পারতাম। তা এখন আর হয়ে ওঠে না।

চাকরিজীবী রুহুল আমিন বলেন, যখন রাস্তায় জ্যামের মধ্যে বাসে ঝুলে থাকি, তখন যদি বাসা বা গ্রাম থেকে কোনও ফোন আসে, ভালোভাবে কথা বলার সুযোগ হয় না। মেজাজও খিটখিটে থাকে। কিন্তু ফোনের অপর প্রান্তে যিনি থাকেন তিনি তো আর জানেন না কোন পরিস্থিতির মধ্যে আছি। এ কারণে আবার দেখা যায় তাদের সঙ্গে মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়।

বন্ধুদের এখন আর সময় দেওয়া হয় না জানিয়ে সদ্য চাকরিতে যোগ দেওয়া রাকিব বলেন, আমাদের এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এত চাপ নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করে না। তারা চায় স্বাচ্ছন্দ্যে জব লাইফটা কাটাতে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশে প্রত্যেক দিন অফিসে যাতায়াতে যে সময় ব্যয় হয়, তারপর আর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয় না। এতে আমাদের যে ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনা তা নষ্ট হচ্ছে। আবার কাজ শেষে বাসায় এসেও শান্তি নেই, অফিসের নানা কাজ ফোনে করতে হয়। এ কারণে এখন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশের বাইরে যাওয়ার আগ্রহ বেড়েছে। দেশের বাইরে তো সবকিছু সিস্টেমের মধ্যে চলে।

গণপরিবহনের জন্য মানুষের বিষণ্ন অপেক্ষা, ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

সড়কে চলাচলের খরচও বাড়ছে

সড়কের অব্যবস্থাপনার কারণে চলাচলে খরচও বেড়েছে বলে জানান নগরবাসী। বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যের অস্থিতিশীলতার পাশাপাশি এই খরচ বাড়াটাও এক ধরনের মানসিক চাপ বলে মনে করেন তারা।

এ বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ী মমজাত উদ্দিন বলেন, যা আয় করি না কেন, কোনও না কোনোভাবে খরচ হয়ে যায়। পকেটে টাকা না থাকলে বাধ্য হয়েই বাসে করে যাতায়াত করতে হয়। আবার আয় ভালো হলে পকেটে কিছু টাকা থাকে, তখন বাসের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে রিকশায় চড়ি। সেখানেও অতিরিক্ত খরচ হয়। বাসে যেখানে ১৫-২০ টাকায় যাওয়া যায় সেখানে রিকশায় লাগে ১০০ টাকা। যদি সড়কের পরিবহন ব্যবস্থা সুন্দর হতো তাহলে এই খরচটা হতো না। দিন শেষ পকেটে টান লেগেই থাকে।

দ্রুত যেতে বাইকের বিকল্প নেই জানিয়ে চাকরিজীবী নাজমুল ইসলাম বলেন, কোনও কারণে দেরি হয়ে গেলে বা অফিসের কাজে কোথাও সময় মতো যেতে বাইক ভাড়া করতে হয়। টান টান হিসাবের জীবনে এই যে সময় বাঁচাতে অতিরিক্ত ব্যয়, এটাও একটা মানসিক চাপ।

সড়কে অব্যবস্থাপনার বাস্তবতাকে মেনেই চলছে রাজধানীবাসী

সবারই প্রত্যাশা সড়কের সুন্দর সুশৃঙ্খল একটি ব্যবস্থাপনা। তবে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের দীর্ঘ সময় ধরে এই বিষয়ে কার্যকর কোনও উদ্যোগ না থাকায় অব্যবস্থাপনার এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই চলতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। তারা বলেন, সরকার দেশের সড়ক অবকাঠামোগত উন্নয়নে যতটা গুরুত্ব দিয়েছে, ব্যবস্থাপনাগত মান উন্নয়নে সেই গুরুত্ব পায়নি। এতে নগরবাসী আর্থিক, শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে সাংবাদিক গোলাম মওলা বলেন, আমরা ঢাকায় এক অসুস্থ পরিবেশে বসবাসে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। অভ্যস্ত হলেও এই পরিবেশে মানসিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব না। তার মানে আমরা সবাই একটা মানসিক রোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই রোগের প্রভাব আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পড়ছে, অনেকটা অজান্তেই আমরা বিষণ্ন থাকি সবসময়। যা আমাদের চেহারায়, ব্যবহারে, কাজকর্মে প্রকাশ পায়। ফলে ঢাকার মানুষদের মাঝে সৌহার্দ্যবোধ কমছে, দূরত্ব বাড়ছে। গরমে অসুস্থ হবো, কাজে যেতে দেরি হবে, এতে কাজে মনোযোগ আসবে না- এইটা বাস্তবতা।

সড়কে নানা রকম অসুবিধায় পড়তে হয় নারী যাত্রীদের

ঢাকার গণপরিবহনগুলোতে নারীদের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় বলে জানান নিয়মিত বাসে যাতায়াত করা নারী যাত্রীরা। তারা বলেন, প্রথমত বাস কন্ট্রাক্টররা ব্যস্ত সময়ে নারী যাত্রীদের উঠাতে চান না। বাস চালকদের মতে একজন নারী তিন জন পুরুষ যাত্রীর জায়গা নিয়ে রাখে। এছাড়া বাসের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নারী যাত্রীর স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়। কেননা বাসে নারীদের বসার জায়গা হয় ইঞ্জিনের পাশে। জায়গায় সংকুলান না হলে ইঞ্জিনের ওপর একটা সিট পেতে সেখানেই বসতে দেওয়া হয় নারী যাত্রীদের।

এতকিছুর পরও দীর্ঘ যানজট পেড়িয়ে বাসায় গিয়ে এক ধরণের মানসিক চাপে থাকতে হয় নারী যাত্রীদের। কারণ অধিকাংশ নারীকে বাসায় গিয়ে রাতের খাবার তৈরিসহ সাংসারিক কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠতে হয়। ফলে সকাল থেকে বিরতিহীনভাবে দীর্ঘ সময় ধরে তাদের কাজ করে যেতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে চাকরিজীবী নারী আফরোজা আক্তার বলেন, ‘গণপরিবহনে সকালে অফিসে যাওয়া আবার অফিস থেকে ফেরা নারীদের জন্য প্রতিদিনের এক যুদ্ধ। যদিও পুরুষদের সঙ্গে ঠেলাঠেলি করে বাসে উঠি তখন বাস চালক-চালকের সহযোগীদের থেকে নানা কটুকথা শুনতে হয়। আমাদের জন্য নাকি তাদের লস হয়ে যায়। আরও দুইটা লোক বেশি উঠাতে পারতো। নানা কথা।’

দীর্ঘসময় জ্যামে থাকায় পরিবারে অশান্তি তৈরি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অফিস শেষ করে বাসায় ফিরবো সেখানেও আরেক যুদ্ধ। সকালের তুলনায় সন্ধ্যায় রাস্তায় জ্যাম আরও বেশি থাকে। প্রায় দুই ঘণ্টা রাস্তায় থাকতে হয়। কখনও আরও বেশি। এসব করে যখন বাসাত ফিরি মাথার ওপর হাজারও কাজ। রান্না করা, ঘর গোছানো ইত্যাদি। সব মিলিয়ে মেজাজ খিটখিটে থাকে। তখন ছেলে-মেয়ের সঙ্গে সুন্দর করে কথা বলা হয় না। স্বামীর সঙ্গেও মাঝে মাঝে এটা-সেটা নিয়ে উচ্চস্বরে কথা বলতে হয়। এ এক অশান্তি।’

ভিড়ে বাসে মানসিক এক অস্বস্তির মাঝে থাকতে হয় জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থী নিশি বলেন, ‘বাসের ভেতর নারীদের জন্য বসার সিট যথেষ্ট না। যেটা আছে সেখানেও সব সময় নারীদের বসার সুযোগ হয় না। পুরুষই বসে থাকে। তাই ভিড়ের মধ্যে অন্য সবার সঙ্গে ঠেলাঠেলি করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, সেখানে আবার হাত রাখার স্ট্যান্ড অনেক ওপরে। বাজে অবস্থায় বাসে যাতায়াত করতে হয়।’

জ্যামের কারণে দীর্ঘসময় প্রস্রাব আটকে রাখাসহ নানা শারীরিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় বলেও জানান এই শিক্ষার্থী।

যা বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘ সময় রাস্তায় গণপরিবহনে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকার কারণে যাত্রীদের কোমর, ঘাড়, মাথা ব্যথা হওয়া, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়াসহ নানা শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর বাইরে যে বিরক্তি ও উদ্বেগ তৈরি হয় তার ফলে হার্টের স্পন্দন বেড়ে যায়, উচ্চ রক্তচাপ তৈরি হয়।’

তিনি বলেন, ‘বেশি সময় ধরে এক জায়গায় আটকে থাকার কারণে যাত্রীদের মাঝে বিরক্তি তৈর হতে থাকে। প্রতিনিয়ত এমনটা হওয়ার কারণে তাদের মনসংযোগের ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। ফলে যাত্রীদের মাঝে পার্সনালিটি ডিসওর্ডার রোগ তৈরি হয়। তখন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আচরণে রুক্ষতায় প্রকাশ পায়।’

জ্যামের কারণে সামাজিক দূরত্বও তৈরি হয় জানিয়ে এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘একজন মানুষ যখন জ্যামের কারণে অতিরিক্ত সময় রাস্তায় ব্যয় করে তখন সে বিভিন্ন সামাজিক আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পারে না। এতে করে সামাজিক দূরত্বও তৈরি হয়। সেটি একসময় মানসিকভাবে তাকে একা ভাবায়, বিষণ্নতা তৈরি করে।’

ঢাকার গণপরিবহনে নারীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি আরও বেশি জানিয়ে ড. লেলিন বলেন, ‘দীর্ঘ সময় জ্যামে থাকার কারণে নারীদের লম্বা সময় প্রস্রাব আটকে রাখতে হয়। কেননা একেবারে বাসায় গিয়েই ফ্রেশ হতে হয় তাদের। এতে করে একটা সময় গিয়ে কিডনি রোগের সৃষ্টি হয়। এর বাইরে ঋতুস্রাবের সময় দীর্ঘক্ষণ বাসে থাকার কারণে তাদের স্যানিটারি প্যাড বদলের সময় এলেও তা সম্ভব হয় না।’

/আরআইজে/এমওএফ/
সম্পর্কিত
রাজধানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে কিশোরের মৃত্যু
খাল পুনরুদ্ধারে জিরো টলারেন্স নীতি মানা হবে: মেয়র আতিক
মোহাম্মদপুরে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
সর্বশেষ খবর
বিমানবন্দর ও টঙ্গী থেকে ৭ ছিনতাইকারী গ্রেফতার
বিমানবন্দর ও টঙ্গী থেকে ৭ ছিনতাইকারী গ্রেফতার
রংপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ
রংপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ
আবদুল্লাহ জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু
আবদুল্লাহ জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু
সিট দখল নিয়ে সংঘর্ষ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
সিট দখল নিয়ে সংঘর্ষ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
সর্বাধিক পঠিত
ফুটপাত থেকে দোকান ছড়িয়েছে প্রধান সড়কে, আসছে নতুন পরিকল্পনা 
ফুটপাত থেকে দোকান ছড়িয়েছে প্রধান সড়কে, আসছে নতুন পরিকল্পনা 
আমরা সুন্দর একটি সম্পর্ক মেন্টেইন করি: জয়া আহসান
বাংলা ট্রিবিউনের দশম বর্ষপূর্তিআমরা সুন্দর একটি সম্পর্ক মেন্টেইন করি: জয়া আহসান
যেভাবে বরণ করা হবে এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিককে
যেভাবে বরণ করা হবে এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিককে
জাতীয় দলে খেলতে গেলে সাপোর্ট লাগে: ইমরুল  
জাতীয় দলে খেলতে গেলে সাপোর্ট লাগে: ইমরুল  
চিনি খাওয়া বন্ধ করলে কী হয়?
চিনি খাওয়া বন্ধ করলে কী হয়?