বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টের রিক্রুট ব্যাচ-২৩-এর ‘সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) চট্টগ্রামের আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে সেনাবাহিনীর রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির কুচকাওয়াজ, নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসে ইঞ্জিনিয়ার সেন্টার অ্যান্ড স্কুল অব মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স, কোর অব মিলিটারি পুলিশের কুচকাওয়াজ, নীলফামারীর সৈয়দপুর সেনানিবাসে ইএমই সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে কোর অব ইএমইর কুচকাওয়াজ এবং গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে অর্ডন্যান্স সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে আর্মি অর্ডন্যান্স কোরের রিক্রুট ব্যাচ-২০২৩-এর ‘সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ’ অনুষ্ঠিত হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া, কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ, কোর অব ইএমইয়ের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ৬৬ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার রংপুর এরিয়া এবং আর্মি অর্ডন্যান্স কোরের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার লজিস্টিকস এরিয়া উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।
মঙ্গলবারের এই নান্দনিক ও চৌকস প্যারেডগুলোর মাধ্যমে রেজিমেন্ট অব আর্টিলারিতে এক হাজার ৪১ জন পুরুষ, কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স ও কোর অব মিলিটারি পুলিশে ৮৮৮ জন পুরুষ ও ৫১ জন নারী, কোর অব ইএমইতে ৪৫৬ জন পুরুষ ও ৩৮ জন নারী এবং আর্মি অর্ডন্যান্স কোরে ২২২ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী সেনাবাহিনীতে নবীন সৈনিক হিসেবে যোগদান করেন।
সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ও দেশের সেবায় এ বাহিনীর অবদানের কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি আধুনিক ও যুগোপযুগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য নবীন সৈনিকদের প্রতি আহ্বান জানান ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে দেশের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে নবীন সৈনিকদের উদ্বুদ্ধ করেন।
অনুষ্ঠানে সেনা কর্মকর্তারা ছাড়াও অন্যান্য অফিসার, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার, বিভিন্ন পদের সৈনিকরা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।