বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা টানা তিন দিনের রাজপথ, রেলপথ ও নৌ-পথে সর্বাত্মক অবরোধ নিয়ে জনজীবনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, এই কর্মসূচিতে যে কোনোধরনের নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত হয়ে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। কোনোধরনের নাশকতা কিংবা জনগণের জানমালে আঘাত আনতে চাইলে, ছাড় দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) অবরোধের প্রথম দিন সকাল থেকে রাজধানীর মোড়ে মোড়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেখা গেছে। চেকপোস্ট বসিয়ে কাজ করতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের। নাশকতা ঠেকাতে র্যাব, পুলিশ, আনসার গোয়েন্দাদের পাশাপাশি রাত থেকেই সারা দেশে টহল দিচ্ছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। সকালেও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তাদের টহল দিতে দেখা গেছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলোকে ঘিরে কেউ যদি কোনোধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা, জানমালের ক্ষতি কিংবা আগুন, ভাঙচুরের মতো ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়; তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এরই মধ্যে দেশের র্যাবের ব্যাটালিয়নগুলোকে গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি টহল জোরদারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি রক্ষার জন্য র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়নের প্রায় ৩০০ পেট্রোল দল মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের স্পেশাল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ রাখা হয়েছে। এছাড়া নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাব সার্বক্ষণিক দেশব্যাপী নিয়োজিত থাকবে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ মহিদ উদ্দিন (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার প্রতিশ্রতি দিয়েও সহিংসতা করা হয়েছে এমনটি আমরা দেখেছি। তাই সম্ভাব্য নাশকতা ঠেকাতে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবো।’
তিনি আরও বলেন, ঢাকা নগরবাসীর সম্পদ ও জানমালের নিরাপত্তায় ঢাকা মহানগর পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আশা করি, আমরা যে নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেবো, সেটির সঙ্গে নগরবাসী ও সব শ্রেণির মানুষ আমাদের সহযোগিতা করবে। যারা রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়, আমরা আশা করি তারা ধ্বংসাত্মক কাজ করবে না। কারণ ধংসাত্মক কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ হতে পারে না