মিথ্যা পরিচয় দিয়ে অন্যের রূপধারণ করে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে করা পল্টন থানার মামলায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জামাল উদ্দিন মীর আসামির ৮ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন এবং তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
এদিন বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামি পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী হাসান সারওয়ার্দীর জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এই জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী আসামিকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর তাকে সাভার থেকে গ্রেফতার করেন ডিবি পুলিশ। গত ১ নভেম্বর সারওয়ার্দীর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর রাতে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ের সামনে ডিএমপির ডিবিপ্রধান হারুন সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতার মিয়া আরেফী (জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা) আমাদের জানিয়েছেন যে, বিএনপির পার্টি অফিসে হাসান সারওয়ার্দী (অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী), বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট বেলাল ও ইশরাক হোসেন তাকে বাইডেনের উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তারা (বিএনপি) মিথ্যাভাবে আরেফীকে উপস্থাপন করেন।
তারা বাসা থেকে আসার সময় শিখিয়েছেন যে, আপনি (আরেফী) বলবেন— র্যাবকে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে সহায়তা করেছি। এখন পুলিশ, আনসার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকেও এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। এই কথাগুলো বললে দেখবেন বাংলাদেশের পুলিশ অফিসাররা ডিমোরালাইজড হবে এবং বাংলাদেশের মানুষও ডিমোরালাইজড হবে।
আরও পড়ুন: