রাজনৈতিক মতের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধই গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন ‘এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)’ সভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ‘রাজনৈতিক মতের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধই গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র। সামরিক শাসন ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে পুনর্বাসনের মতো রাজনৈতিক ঘটনা পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধকে নষ্ট করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিনষ্ট করতে চাওয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্রের উপর আঘাতের ঘটনা আমরা ইতিহাসে দেখেছি। এই সব সংকটই সকল দ্বন্দ্বের উৎপত্তি ঘটিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন দুটি একে অপরের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী একটি সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এখন সংলাপ নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তার প্রস্তাব তিনি আগেই দিয়েছিলেন।’
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান বলেন, ‘আব্রাহাম লিংকন (সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট) বলেছিলেন, কোনও রাষ্ট্রে সব জনগণ উন্নয়নের সুফল ভোগ করে স্বাধীন নাগরিক হিসেবে বসবাস করলে, সেই রাষ্ট্রে গণতন্ত্র বিরাজমান বলে বিবেচনা করা যায়। প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণের কল্যাণে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তা কারও অজানা নয়। তার অর্থনৈতিক সাফল্যমণ্ডিত পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর রিপোর্টেও এসেছে।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘কর্মসংস্থান, যোগাযোগে উন্নতি এবং আত্মনির্ভরতা অর্জনের সুফল বাংলাদেশের মানুষ ভোগ করছে। গণতান্ত্রিক চর্চা সুষ্ঠু থাকলে মানুষ এসব সুফল ভোগ করে। বাংলাদেশের সরকার মানুষের অধিকার বাস্তবায়নের পাশাপাশি বৈশ্বিক সহযোগিতা ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ইআরডিএফবি) সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা চলছে এ সময় হরতাল অবরোধ দেওয়ার যৌক্তিকতা নেই। শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
ইআরডিএফবি'র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও ইআরডিএফবি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল কবীর এবং রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার প্রমুখ।