ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবিলায় সার্বিকভাবে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জনসাধারণকে সচেতন, সতর্ক ও সাবধান করেছে দুর্যোগপ্রবণ এলাকার ৫১টি ফায়ার স্টেশন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) থেকে মাইকিং করে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে সংস্থাটি। ঘূর্ণিঝড়-পূর্ব, ঘূর্ণিঝড়কালীন ও ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী সব কাজ সমন্বয় করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে সদর দফতর ঢাকায় খোলা হয়েছে মনিটরিং সেল।
এ ছাড়া খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ এসব বিষয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। খুলনায় খোলা হয়েছে বিভাগীয় মনিটরিং সেল। সার্বিকভাবে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মিডিয়া সেল থেকে সংবাদমাধ্যমকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৬ নভেম্বর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত এবং তার আলোকে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন নির্দেশনা অনুযায়ী উপকূলীয় এলাকাগুলোর ১৩টি জেলার ৫১টি ফায়ার স্টেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে সবাইকে সতর্ক ডিউটিতে রাখা হয়েছে। দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতি ফায়ার স্টেশনে সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম, প্রাথমিক চিকিৎসাকারী দল এবং ওয়াটার রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার সরঞ্জামসহ অ্যাম্বুলেন্স, চেইন ‘স’, হ্যান্ড ‘স’, রোটারি রেসকিউ ‘স’, স্প্রেডার, মেগাফোন, র্যামজ্যাক বা এয়ার লিফটিং ব্যাগ, ফাস্ট এইড বক্সসহ যাবতীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজসহ রাস্তাঘাট যান চলাচল উপযোগী করার কাজে ফায়ার সার্ভিস নিয়োজিত থাকবে। তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়াররা। এসব এলাকায় জীবন ও মালামাল সুরক্ষা সংক্রান্ত যেকোনও কাজে দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিসের সেবা গ্রহণ করা যাবে। সব আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি প্রয়োজনে উপকূলবর্তী ফায়ার স্টেশনগুলোতেও সাধারণ জনগণ আশ্রয় নিতে পারবেন।
ফায়ার সার্ভিসের মনিটরিং সেল, কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষসহ সব বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ সারাক্ষণ সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত থাকবে।
যেকোনও জরুরি প্রয়োজনে সেবা গ্রহণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের নিকটবর্তী ফায়ার স্টেশন, বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের হটলাইন নম্বর ১৬১৬৩ অথবা কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলের জরুরি মোবাইল নম্বর ০১৭৩০৩৩৬৬৯৯-এ ফোন করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।