ঢাকার দোহার উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র মৈনট ঘাট এলাকায় পদ্মা নদী থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির (২৫) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১১ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম. সাইফুল ইসলামের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এই তারিখ ঠিক করেন।
এদিন মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (নিরস্ত্র) জহিরুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য বিচারক নতুন করে এই তারিখ ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৪ জুলাই মৈনট ঘাটে ১৫ বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানি। নিখোঁজ হওয়ার পর সানির সন্ধানে নামে ফায়ার সার্ভিস সদর দফতর থেকে ডুবুরি দল। ওইদিন রাতে রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে শুক্রবার বেলা ১১টা ২৬ মিনিটে মৈনট ঘাট থেকে ওই বুয়েট শিক্ষার্থী মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় গত ১৫ জুলাই বিকালে সানির বড় ভাই হাসাদুজ্জামান একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় সানির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া অন্য ১৫ বন্ধুকে।
মামলার ১৫ আসামি হলেন, শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, রুবেল, সজীব, নুরজামান, নাসির, মারুফ, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, নোমান, জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মারুফুল হক মারুফ ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।